মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুরে ১৪ বছর বয়সী এক প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পূর্ব ছিলারচর এলাকার চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাবুল সরদারকে আসামি করে একটি ধর্ষণের মামলা করেন ওই তরুণীর মা। এরপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। মামলার এজাহারের সূত্রে মাদারীপুর সদর থানাধীন আঙ্গুলকাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. নাসিরউদ্দিন জানানয়, ওই প্রতিবন্ধী তরুণী তার পরিবারের সঙ্গে সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল সরদারের বাসায় ভাড়া থাকতেন। মা একটি স্কুলে অফিস সহায়কের কাজ করেন, বাবা দিনমজুর। এই দম্পতির মেয়ে শরীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে বাসায় রেখে বাবা-মা দুজনকেই কাজে যেতে হতো। গত ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল সরদার ওই তরুণীর ঘরে যান। পরে জোরপূর্বক ওই তরুণীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। সন্ধ্যায় ওই প্রতিবন্ধী তরুণীর মা-বাবা বাড়িতে এলে বিষয়টি বুঝতে পেরে রাতেই নিযার্তনের শিকার ওই তরুণীকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ঘটনার একদিন পরে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল সরদারকে আসামি করে একটি ধর্ষণের মামলা করেন ওই তরুণী মা। এরপর থেকেই অভিযুক্ত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল সরদার পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে বাবুল সরদারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ধর্ষণের শিকার তরুণীর বাবা বলেন, ‘চেয়ারম্যান বাবুল সরদার আমার স্ত্রীকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন লোকজন দিয়া ভয় দেখায়। কিন্তু আমরা তার কথা শুনি নাই। আমার মেয়ের সঙ্গে যে অন্যায় করেছে আমি তার বিচার চাই। কোনো আপোষ চাই না।’ মাদারীপুর সদর থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল সরদার গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকেই পলাতক ছিলেন। তাকে ধরতে একাধিকবার অভিযান চালাই আমরা। সবশেষ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। তাকে আদালতে হাজির করা হবে।’
Discussion about this post