স্পোর্টস রিপোর্ট: কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের তৃতীয় ম্যাচে এমবাপ্পের জোড়া গোলে পোল্যান্ডকে ৩-১ গোল ব্যবধানে হারিয়ে তৃতীয় দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। এমবাপ্পে ছাড়াও গোলের দেখা পেয়েছেন ওলিভার জিরুড। এদিকে পোল্যান্ডের একমাত্র গোলটি করেন রবার্তো লেভানডোস্কি। আল থুমামা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বল দখল ও আক্রমণে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল শক্তিশাল ফ্রান্সের। পুরো ম্যাচের ৫৬ শতাংশ সময় নিজেদের কাছে বল রাখতে সক্ষম হন ফরাসি ফুটবলাররা। আর প্রতিপক্ষের গোলবার বরাবর মোট শট নিতে পেরেছে সাতটি। এতে গোলের দেখা পেয়েছে তিনটি। অন্যদিকে পুরো ম্যাচে কেবল মাত্র ৪৪ শতাংশ সময় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বল রাখতে সক্ষম হয় পোল্যান্ডের ফুটবলাররা। বল দখলে পিছিয়ে থাকা পোলিশরা আক্রমণেও খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি। প্রতিপক্ষের গোলবারে শট নিয়েছে মাত্র তিনটি। গোলের দেখা পেয়েছে মাত্র একটি। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল ফ্রান্স। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন রাফায়েল ভারানে। কিন্তু বক্সের ভেতর থেকে নেয়া তার হেডটি গোলবারের ঠিক ওপর দিয়ে চলে যায়। আর ২২তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জুলাস কুন্দের নেয়া ডান পায়ের শট রুখে দেন পোলিশ গোলকিপার চেচনিচ। এদিকে ৩৪তম মিনিটে সুযোগ ছিল পোল্যান্ডের। কিন্তু রবার্তো লেভানডোস্কির নেয়া শট রুখে দেয় ফ্রান্সের রক্ষণ। তবে ৩৮তম মিনিটে গোল পেয়ে যেতে পারত পোলিশরা। পিটার জেলেনস্কির নেয়া ডান পায়ের শট কোনোমতে আটকে দেন ফরাসি গোলকিপার। এক পর্যায়ে মে হচ্ছিলো গোলশূন্য ব্যবধানেই বিরতিতে যাবে দুদল। কিন্তু প্রথমার্ধের অন্তিম মুহূর্তে দলকে এগিয়ে দেন অলিভার জিরুড। ডি বক্সের বাইরে থেকে এমবাপের বাড়ানো ডিফেন্স চেরা পাসে বা পায়ের শটে সিজনিকে পরাস্ত করে ফ্রান্সের ইতিহাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা বনে যান তিনি।
Discussion about this post