বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জেরে মো. জহির (৩৩) নামে এক যুবককে কুপিয়ে ও হাতুড়িপেটা করে জখম করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের বাবুর হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত জহিরকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জহির পূর্ব নওমালা গ্রামের বাসিন্দা মো. সেকান্দার আলী সিকদারের ছেলে। তিনি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে বাবুর হাট এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন জহির। রাত ৮টার দিকে স্থানীয় মো. মাসুদ সিকদারের (৩২) নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি দল এসে জহিরকে ঘেরাও করে ফেলে। একপর্যায়ে তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও হাত-পা, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে হাতুড়িপেটা করে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন জহিরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. তাসিফুল ইসলাম বলেন, ‘তার শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপের দাগ রয়েছে এবং হাত-পাসহ বিভিন্ন অংশ থেতলে দেওয়া হয়েছে। অবস্থা খুবই গুরুতর হওয়ায় এক্সরে করানো সম্ভব হয়নি। তবে বাঁ হাত ও দুই পায়ের হাড় ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’ আহত ব্যক্তির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব নওমালা গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলামের ছেলে মো. মাসুদ সিকদারের সঙ্গে একই গ্রামের জহিরের পূর্ব বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে জহিরের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ বিষয়ে মাসুদ সিকদারের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Discussion about this post