আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের পেশোয়ার শহরের একটি মসজিদে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে মসজিদের ইমামও রয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দেড় শ জন আহত হয়েছেন। হামলার দ্বায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান অব পাকিস্তান-টিটিপি। সোমবার জোহরের নামাজের সময় মুসল্লিভর্তি মসজিদটিতে বিস্ফোরণটি ঘটে। ঘটনায় ১৫৭ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ডন ডট কম। পেশোয়ারের কমিশনার রিয়াজ মেহসুদ হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মসজিদের ভিতরে উদ্ধার অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি। আরও জানান, পুরো শহর জুড়ে হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে এবং আহত ব্যক্তিদের সর্বোত্তম চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। লেডি রিডিং হাসপাতালের (এলআরএইচ) মুখপাত্র মোহাম্মদ আসিম ডন ডটকমকে বলেন, আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় রাজধানী সিটি পুলিশ অফিসার (সিসিপিও) পেশোয়ার মুহাম্মদ ইজাজ খান বলেন, বিস্ফোরণের পর মসজিদের ছাদ ধসে পড়ে। অনেক জওয়ান এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে এবং উদ্ধারকারীরা তাদের বের করার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, ‘বিস্ফোরকের গন্ধ পাওয়া গেছে, তবে উল্লেখযোগ্য কিছু এখনি বলা যাচ্ছে না। বিস্ফোরণের সময় ওই এলাকায় ৩০০ থেকে ৪০০ পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এটি স্পষ্ট যে একটি নিরাপত্তা ত্রুটি ঘটেছে। মৃতদেহ ও আহতদের এলআরএইচে স্থানান্তর করা হয়েছে।’ জোহরের নামাজ পড়ার সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে বিস্ফোরণটি ঘটে। তারা জানান, মসজিদের ভেতরে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী স্কোয়াডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিস্ফোরণের কারণ স্পষ্ট নয়। হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ঘটনার পর এক বিবৃতিতে শরিফ বলেছেন, এই ঘটনার পিছনে যারা ‘ইসলামের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। সন্ত্রাসবাদের হুমকির বিরুদ্ধে সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ।’ আফগানিস্তানের সাথে দেশটির সীমান্তবর্তী উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরে দুপুরের নামাজের সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। মসজিদে বোমা লাগানো ছিল নাকি এটি আত্মঘাতী হামলা ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। এখন পর্যন্ত কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি। এই ধরনের সর্বশেষ বড় ঘটনাটি গত বছর পেশোয়ারে ঘটেছিল। সে সময় কোচা রিসালদার এলাকায় একটি শিয়া মসজিদের ভিতরে একটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
Discussion about this post