আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ‘সিভিলিয়ান মার্শাল ল’ জারি করেছেন। আর অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ার পদক্ষেপ ‘অসাংবিধানিক’। এ ছাড়া, ৩ এপ্রিল একটি ‘কালো দিন’ হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন সেদেশের প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল-এন) প্রেসিডেন্ট শেহবাজ শরিফ। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে শেহবাজ শরিফ, পিপিপি দলের চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারিসহ অন্যান্য বিরোধী দল প্রধান উপস্থিত ছিলেন। গত ৩ এপ্রিল দেশটির জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সংবিধানের ৫ নং অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় তা খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি। শেহবাজ শরিফ অভিযোগ করেন, ডেপুটি স্পিকার এ অনাস্থা প্রস্তাবকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করেন, তবে কেন বিষয়টি আগে উত্থাপিত হলো না? পরাজয়ের লজ্জা থেকে বাঁচতে সংবিধানের ৫ নং ধারাকে ব্যবহার করেছে পিটিআই। এ ছাড়া, সংবাদ সম্মেলনে বিদেশ থেকে পাওয়া ‘হুমকি বার্তা’ নিয়ে কথা বলেন শেহবাজ। তিনি বলেন, ইমরান দাবি করেছেন তিনি চিঠি পেয়েছেন ৭ মার্চ। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসাদ মাজেদের বিদায় উপলক্ষে আয়োজিত ভোজসভায় ১৬ মার্চ ওয়াশিংটনের কর্মকর্তাদের দাওয়াত দেওয়া হয়।সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক ডোনাল্ড লু (সোমবার ইমরান দাবি করেন, ডোনাল্ড লু তার সরকার উৎখাতের পিছনে প্রধান ষড়যন্ত্রকারী)। তাহলে ডোনাল্ডকে কেন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া হলো? যদি এ চিঠি ৭ মার্চ পাওয়া যায় তবে কেন বিষয়টি আগে জানানো হলো না?
Discussion about this post