ঢাকা: বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, পরিস্থিতি যাই হোক, সীমান্ত দিয়ে আর একজন মিয়ানমার নাগরিককেও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। আজ বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের ৩৩০ নাগরিকদের হস্তান্তর কার্যক্রম শেষে তিনি এ কথা বলেন। আভ্যন্তরীণ সংঘাতের জেরে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া মিয়ানমারের সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সকাল ৭টায় নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত ও টেকনাফে হ্নীলা থেকে বিজিবির কড়া পাহারায় ১২টি বাসে করে কক্সবাজারের ইনানী নৌ-বাহিনীর জেটি ঘাটে নিয়ে আসা হয়। বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, মানবিক বাংলাদেশ সবার প্রচেষ্টায় মিয়ানমারের নাগরিকদের দ্রুত ফেরত পাঠাতে পেরেছে। এসময় বিজিপি সদস্যদের আশ্রয় ও চিকিৎসা সেবা দেয়ায় বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত। মিয়ানমারের চলমান অস্থিরতার সুযোগে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক আছে বলে জানান বিজিবি মহাপরিচালক। গত ২ ফেব্রুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। যুদ্ধের মধ্যে বিদ্রোহীরা বিজিপির কয়েকটি সীমান্ত ফাঁড়ি দখল করে নিলে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে থাকে। এসময় তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়। তাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের তরফ থেকে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগের পর ২ দেশের সম্মতিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কক্সবাজারের ইনানী জেটি ঘাটে শুরু হয় ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া। ঘুমধুম ও হ্নীলা স্কুল থেকে ১২ টি বাসে ৩৩০ জনকে আনা হয় এখানে। আহতদের আনা হয় অ্যাম্বুল্যান্সে। এর মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, ৪ জন তাদের পরিবার, ২ জন সেনা ও ১৮ জন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা এবং ৪ জন সাধারণ নাগরিক রয়েছেন।
Discussion about this post