আন্তর্জাতিক ডেস্ক: টানা কয়েক মাসের তীব্র পরিশ্রমের কারণে আফ্রিকার দেশ মালির প্রধানমন্ত্রী চোগুয়েল কোকাল্লা মাইগাকে জোরপূর্বক বিশ্রামে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসক তাকে বিশ্রামের নির্দেশ দেওয়ার পর শনিবার (১৩ আগস্ট) এই পদক্ষেপের কথা সামনে আসে। মালির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বরাত দিয়ে রবিবার (১৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। অবশ্য মাইগাকে হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে সংবাদ বের হলেও সেটি নিশ্চিত করেনি তার উপদেষ্টা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক মাসের তীব্র পরিশ্রমের পর মালির প্রধানমন্ত্রী চোগুয়েল মাইগাকে তার ডাক্তার বিশ্রামের নির্দেশ দিয়েছেন বলে শনিবার তার অফিস জানিয়েছে। অবশ্য স্ট্রোকের পরে চোগুয়েল মাইগাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর বের হলেও প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা সেই রিপোর্ট অস্বীকার করেছেন। শনিবার মালির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, ‘টানা ১৪ মাস কোনো ধরনের বিরতি ছাড়াই কাজ করার পর প্রধানমন্ত্রী ও সরকার প্রধান চোগুয়েল কোকাল্লা মাইগাকে তার ডাক্তার জোর করে বিশ্রামে রেখেছেন। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় তিনি আগামী সপ্তাহে তার কার্যক্রম আবার শুরু করবেন।’ এর আগে ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে প্যারিস-ভিত্তিক ম্যাগাজিন জিউন আফ্রিকা প্রথম সংবাদ প্রকাশ করে যে, মালির প্রধানমন্ত্রী চোগুয়েল কোকাল্লা মাইগা স্ট্রোক করেছেন। তবে রয়টার্সের কাছে মাইগার একজন উপদেষ্টা এই খবর অস্বীকার করেছেন। মালির জান্তা শাসক গত বছরের জুনে তাদের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সাবেক বিরোধী নেতা মাইগাকে বেছে নেয়। ২০২০ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে মালির ওই জান্তা ক্ষমতায় আসে এবং ২০২৪ সালে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি রয়েছে তাদের। রয়টার্স বলছে, পশ্চিম আফ্রিকার প্রতিবেশী এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে নানা বিষয়ে অলোচনার সময় দেশটির সরকারের মধ্যে সবচেয়ে স্পষ্টবাদী কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন মাইগা।
Discussion about this post