মোস্তাফিজুর রহমান সুজন(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালী হিসাব রক্ষন কার্যালয়ে অডিটর পদে কর্মরত ইরিনা বেগমের অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত করছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। বরিশাল বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রকের কাছে দাখিলকৃত অভিযোগটির তদন্ত করছেন উজিরপুর উপজেলা হিসাব রক্ষন অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম। ৩ জুলাই এক দিনের কার্যদিবসে এ তদন্ত সম্পন্ন করেছেন তদন্ত টিম। এদিকে অভিযুক্তর পক্ষে জেলা হিসাব রক্ষন অফিসার (ডিএও) মো. মোহাসীন অবস্থান নিয়েছে,এমন অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত প্রসঙ্গে ডিএও মোহাসীন বলেন-অভিযোগ গুলো মিথ্যা,ইরিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা বলেন-নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ইরিনা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে আমতলী উপজেলা কার্যালয়ে বদলি হলেও ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারীতে পটুয়াখালী জেলা অফিসে পূর্নবহাল হন এবং পটুয়াখালী জেলা কর্মকর্তা মোহাসীনের আর্শিবাদপুষ্ঠ হয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি অব্যাহত রাখেন। অভিযোগে বলা হয়-অর্থ মন্ত্রনালয়ের নিষেধাজ্ঞা ভেঙ্গে ২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারী আমতলী উপজেলা কৃষি বিভাগের অফিস সহকারী নুর-উদ্দিনকে ইনক্রিমেন্ট বকেয়া বিলে স্বাক্ষর করে ইরিনা। আমতলী উপজেলায় ৫ মাসের কর্মদিবসে অনিয়মিত অফিস করে নিয়মিত বেতন-ভাতা নেন তিনি। এসব ঘটনায় পটুয়াখালী জেলা হিসাব রক্ষন অফিসার মোহাসীনকে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু পরিদর্শন কর্মকর্তা মোহাসীন অভিযুক্ত ইরিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তার বশে গিয়ে তাকে পটুয়াখালীতে পূর্নবহাল করেন। অভিযোগে আরও বলা হয়-অডিটর ইরিনা পূর্বে শিক্ষক পদে চাকুরি করতেন। পরবর্তীতে তিনি অডিটর হিসেবে চাকুরিতে যোগদান দিয়ে শিক্ষক পদের জিপিএফ এর অর্থ অবৈধ ভাবে অডিটর পদে সংযুক্ত করেন; যা বিধি বর্হিভুত। এছাড়াও পটুয়াখালী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের গাড়ী চালক মো. শাহজাহান ১৯৮১-৮২ সালে ২২৫ টাকা স্কেলে সুইপার পদে (ব্লক পদ) চাকুরিতে যোগ দেন। ইরিনা মোটা উৎকোচ নিয়ে শাহজাহানকে চালক পদের বেতন স্কেল উল্লেখ করে পেনশন নিতে সহযোগীতা করেন। অপরদিকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে যুগান্তরে কয়েক দফা সংবাদ প্রকাশিত হয়। এসব প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে পটুয়াখালী জেলা হিসাব রক্ষন কার্যালয়ে দুই দফা লিখিত তথ্য চাওয়া হলেও জেলা কর্মকর্তা মো. মোহাসীন কোন প্রকার তথ্য দেননি। বরং তৎকালীন সময়ে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালের অডিটর ইরিনার বিরুদ্ধে ভুয়া বিল-ভাউচারে বরাদ্দ ছারের সকল নথি গায়েব করার অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের এক প্রভাবশালী নেতার জামাতাকে দিয়ে ইরিনার বিরুদ্ধে সংবাদ না করতে তদ্বীর করা হয়। অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত ইরিনা বেগম বলেন-অভিযোগের সঙ্গে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নাই,এ গুলো ষড়যন্ত্র। তদন্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন-পটুয়াখালী জেলা হিসাব রক্ষন কার্যালয়ের অডিটর ইরিনার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের ঘটনায় তদন্ত শেষ করেছি কিন্তু প্রতিবেদন দেয়নি।
Discussion about this post