মোস্তাফিজুর রহমান সুজন পটুয়াখালী: পটুয়াখালীতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো রমজান মাসে তরমুজের বাজারের দাম চড়াও তাই কিনতে পারছেন না মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত খেটে খাওয়া গরীব ক্রেতারা। রমজানের শুরুতে ছোট আকারের তরমুজের দাম ছিলো ৬০ টাকা কেজি আর ৪ থেকে ৫ কেজি ওজনের তরমুজ বিক্রি করেছেন ৮০ টাকা কেজি দরে এতে কিনতে গিয়েও দেখে ফিরে আসতে হয় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের। তরমুজ কিনতে গিয়ে বিভিন্ন ক্রেতারা বলেন রোজা আসলেই আমাদের দেশের কৃষির বাজারে আগুন লাগে বিশেষ করে তরমুজের বাজারে আমরা যারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি আমাদের বেতন সীমিত হওয়ার কারনে পরিবারের সাথে মন খুলে ইফতার করতে পারিনা। রোজা আসলেই এদেশের ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন ছুয়ে যায় আকাশ তুঙ্গে কাঁচা মরিচ থেকে শুরু করে কাঠাঁলী কলার দাম পর্যান্ত আকাশ তুঙ্গে বাড়ে ফলে সাধারণ খেটে খাওয়া পেশাজীবি ও দিনমজুরদের রোজার মাসের ইফতারের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। বাজার করতে গিয়ে দেখি ১০০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি যা আগের দিনেও ছিলো ৩০ থেকে ৪০ টাকা লে্বু ছিলেন ২০ টাকা হালি এখন রোজা আসার পর ৫০ থেকে ৬০ টাকা তাও আবার রস নেই। প্রথম দিনের রোজা হওয়ার কারনে শসার দাম হয়েছে ১০০ টাকা কেজি গতো বছরে যে খেজুর ছিলো ২০০ টাকা সেটা এবার রোজায় বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ১৪০ টাকার গুর বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায় কাঠাঁলি কলা প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। একজন তরমুজ ক্রেতা বলেন। আমার মেয়ে তরমুজ খাইতে চেয়েছে আমার বাসার সামনে ভ্যান গারিতে বিক্রি করে দাম চাইলেন ৪০ টাকা কেজি মেয়েকে বললেন চলো বাজারে দাম কম হবে সেখান থেকে কিনবো বাজারে গিয়ে দেখলাম ছোট সাইজের তরমুজ বিক্রি করেন ৬০ টাকা কেজি দরে আর ৪ থেকে ৫ কেজি ওজনের তরমুজ বিক্রি করেছেন ৮০ টাকা কেজিতে। ক্রেতা তখন তার মেয়েকে বললেন চলো মা আমরা বাসার সামনে খেকে কিনবো মেয়ে বলেন তুমি মিথ্যা কথা বলছো তুমি তরমুজ কিনবা না তখন ঐ বাবা ক্রেতার কি মনের অবস্থা কেমন হয়েছে। সে ৩.৫ সারে তিন কেজি ওজনের তরমুজ টা ২৮০ টাকা দাম দিয়ে কিনে নিয়ে আসে রোজার বাকি বাজার আর করা হলো না তার মেয়েকে নিয়ে চলে আসলেন তরমুজ কিনে। পরের দিন বাজারে গিয়ে তরমুজের দাম করতে গিয়ে শোনেন এখন আর তরমুজ কেজিতে নয় পিচ হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে কারন জানতে চাইলে তরমুজ বিক্রেতা বলেন, কেজি হিসেবে বিক্রি করলে এক লক্ষ্য টাকা জরিমানা করবেন ভ্রাম্যমান আদালত ও প্রশাসন। এখন প্রতি পিচ বিক্রি করছেন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা তাহলে তো আগেই ভালো ছিলো তরমুজ ব্যবসায়ীরা বলেন এখানে বিক্রি করতে না পারলে ঢাকায় পাঠিয়ে দিবো সেখানে বাজার দর ভালো পাবো অথচো রাঙ্গাবালীতে তরমুজ চাষীরা বড় ওজনের তরমুজ বিক্রি করছেন প্রতি পিচ ১৪০ টাকা। তাই তরমুজ বাজারে দামের কারনে ক্রেতারা বলছেন বর্তমানে তরমুজের বাজারে আগুন লাগছে যাদের টাকা আছ তারাই কেবল তরমুজ কিনে ক্ষেতে পারছেন আর যাদের টাকা নেই বা সীমিত আয় করছেন তারা শুধু তরমুজ দেখে এবং দরকরে চলে আসেন।
Discussion about this post