আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পদত্যাগের দাবিতে গত দুই বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে । এই আন্দোলনের মুখেই শুক্রবার (২৫ মার্চ) থেকে পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে শুরু হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এবং ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই জানিয়েছে এই অধিবেশনেই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে। শুক্রবার পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য । জানা গেছেভ শুক্রবার বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় ১২টায়) স্পিকার আসাদ কায়সারের সভাপতিত্বে এই অধিবেশন বসবে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সচিবালয় থেকে জারি করা শুক্রবারের অধিবেশনের ১৫ দফা এজেন্ডায়ও অনাস্থা প্রস্তাব রাখা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বলছে, গত ৮ মার্চ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বিরোধী দলীয় এমপিরা অ্যাসেম্বলির সচিবালয়ে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব জমা দেন। তাদের সেই প্রস্তাব আমলে নিয়ে ২৫ মার্চ অনাস্থা ভোটের দিন ধার্য করেছিলেন স্পিকার আসাদ কায়সার। পাকিস্তানের পার্লামেন্টারি নিয়ম অনুযায়ী, অধিবেশন শুরু হওয়ার তিন দিন পর থেকে সাত দিনের মধ্যে এই ভোটের আয়োজন করতে হবে।পাকিস্তানের ৩৪২ সদস্যের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা ভোটে জিততে ইমরান খান সরকারের কমপক্ষে ১৭২ সদস্যর সমর্থন প্রয়োজন। ইমরানের নিজের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সদস্য ১৫৫ জন। অন্য দলের ১৭ জন সদস্যের সমর্থনে সরকার চালাচ্ছিলেন তিনি। যদিও সেই সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। ইমরানের নিজের দলেরও বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য বিরোধীদের পাশে রয়েছেন বলেও খবর বের হয়েছে। ফলে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা ইমরানের পক্ষে কার্যত অগ্নিপরীক্ষায় পরিণত হয়েছে।এদিকে অনাস্থা ভোট আয়োজনকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে সাংবিধানিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টির ঝুঁকি বেড়েছে। পাকিস্তানের বিরোধীরা বরাবরই অভিযোগ করে আসছেন, সামরিক বাহিনীর মদতে ক্ষমতায় টিকে আছেন ইমরান খান। ইমরান অবশ্য বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
Discussion about this post