লাইফস্টাইল ডেস্ক: আনারসে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস রয়েছে। একাধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর এই আনারস! যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে বাঁচাতে পারে। বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এই ফলটি সারাবছরই কমবেশি পাওয়া যায়। নামেও ‘রস’, প্রকৃতিতেও রসালো। হ্যাঁ, আনারসের কথাই হচ্ছে! গরমকালে বাজারে আনারস তো পাবেনই। এমনি আনারস খেতে তেমন ভালোবাসেন না? দরকার কী! রস করে খান! বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট পাল্লা দিতে পারে ক্যানসারের সঙ্গেও! এ ছাড়াও হজমশক্তি বাড়ায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং যেকোনো সার্জারি থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, শরীর ভালো রাখার মহৌষধ লুকিয়ে আনারসেই।
ত্বক উজ্জ্বল করে
আনারস ত্বক উজ্জ্বল করে। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ ও কে। আনারসে আরও রয়েছে ব্রমেলেইন নামের উপাদান। এসব উপাদান ত্বককে ব্রণ মুক্ত রাখে।
হাড় শক্ত রাখে
৩০ পেরোতে না পেরোতেই অনেক নারীই হাড়ের ক্ষয় নিয়ে নানারকম সমস্যায় পড়েন। হাড় ভালো রাখতে হলে রোজ ডায়েটে রাখুন এই আনারসের রস। এতে থাকা ম্যাঙ্গানিজ হাড় মজবুত রাখে। এমনকি মাড়ির ক্ষয় রোধ করতেও এটা দারুণ উপকারি!
ওজন কমায়
গুগলে খুঁজছেন কী খেলে ওজন কমবে? হাতের কাছে রয়েছে আনারস! এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। নিয়মিত এই ফলের রস খান, এতে ক্যালোরির পরিমাণও খুব সামান্য। ফ্যাট না থাকায় এই রস তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে সহায়তা করে।
ঠান্ডা লাগা থেকে বাঁচায়
একটু বৃষ্টিতে ভিজলেই বা ঠান্ডা পানিতে গোসল করলেই কি আপনার ঠান্ডা লেগে যায়? বছরের মধ্যে বেশির ভাগ দিনই সর্দি-কাশি, জ্বরে ভোগেন? আনারসের রস খেয়ে দেখুন। আনারসে রয়েছে ভিটামিন সি, যা ঠান্ডা লাগার ধাত কমায়! ফলে একটুতেই সর্দি-কাশি-জ্বর বাঁধিয়ে বসার ভাবনা থাকে না!
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
ক্যান্সার একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যা অনিয়ন্ত্রিত কোষের বৃদ্ধি দ্বারা ঘটে থাকে। এর অগ্রগতি সাধারণত অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের সঙ্গে যুক্ত। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, আনারস এবং এর যৌগগুলো ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
হজমের সমস্যা কমায়
একটু ভারী-মশলাদার খাবার খেলেই হজম হয় না? ঘনঘন হজমের ওষুধ না খেয়ে ডায়েটে এই ফলের রস খেয়ে দেখুন তো! উপকার মিলবেই! আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন নামে একটি উৎসেচক, যা হজমের সমস্যা কমাতে সক্ষম।
Discussion about this post