বিনোদন ডেস্ক:জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০২৪ সালের এই দিনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হৃদরোগ ও কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৬৩ বছর বয়সে বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতাঙ্গনের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র নিভে যায়।বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীত জগতে ‘মাইলস’ নামটি উচ্চারিত হলে যে ক’টি মুখ চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তার মধ্যে শাফিন আহমেদ অন্যতম। তার কণ্ঠ, গানের কথা, মঞ্চ উপস্থিতি সবকিছু মিলিয়ে তিনি ছিলেন এক অনন্য সত্তা।শাফিন আহমেদ ছিলেন কিংবদন্তি নজরুলসংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগম ও বিখ্যাত সুরকার কমল দাশগুপ্তের সন্তান। সংগীত যেন তার রক্তে বইছিল। কলকাতায় জন্মগ্রহণ করলেও বাংলাদেশ ছিল তার শিল্পীসত্তার আসল মাটি।শাফিন ১৯৭৯ সালে তার ভাই হামিন আহমেদের সঙ্গে “মাইলস” ব্যান্ডে যুক্ত হন। তবে ১৯৯১ সালে তিনি লিড ভোকালিস্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং তখন থেকেই শুরু হয় মাইলসের স্বর্ণযুগ।তার কণ্ঠে “চাঁদ তারা সূর্য”, “ফিরিয়ে দাও”, “আজ জন্মদিন তোমার”, “জ্বালা জ্বালা অন্তরে”, “প্রতীক্ষা”, “নীলা”, “হারানো বিকেল”— এসব গান কোটি তরুণ-তরুণীর প্রিয়তালিকায় স্থান করে নেয়। তিনি শুধু গায়ক নন, একই সঙ্গে গীতিকার, সুরকার এবং বেজ গিটারিস্ট হিসেবেও ছিলেন সমান দক্ষ।জীবনের শেষদিকে শাফিন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনসার্টে অংশ নিতে থাকেন। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রোগ্রামে অংশ নিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই তার জীবনের শেষ দিন হয়ে ওঠে।শাফিন আহমেদের প্রস্থান শুধু একটি প্রজন্মের শিল্পী হারানো নয়, বরং বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীত ইতিহাসে একটি অধ্যায়ের অবসান। তার গান, তার কণ্ঠ, এবং তার সাহসী সংগীতচর্চা আমাদের মননে গেঁথে থাকবে বহু বছর।আজ তার মৃত্যুবার্ষিকীতে সারা দেশের সংগীতপ্রেমীরা স্মরণ করছে তাকে গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায়।
Discussion about this post