স্পোর্টস ডেস্ক: পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে বুধবার মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন নাসুম আহমেদ। ৪ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমানও। তাই জয়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ম্যাচ শেষে সব কৃতিত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের বোলারদের। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘আমি মনে করি বোলাররা এ ম্যাচে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তা নাহলে কম রানে ওদের বেঁধে ফেলা যেত না। এ কারণেই মূলত আমরা সহজে টার্গেট অতিক্রম করতে পেরেছি। বিশেষ করে নাসুম ও মুস্তাফিজকে ধন্যবাদ, ব্যাটসম্যানরাও সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন।’ উল্লেখ্য, এ ম্যাচে জয়ের মাধ্যমে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের প্রথম কোনো সিরিজ জয়। এ নিয়ে দলপতি বলেন, আমাদের ম্যাচ জেতার ক্ষুধা ছিল। সে কারণেই সিরিজ জিততে পেরেছি হয়তো। তবে এখনও আমাদের অনেক কিছু করার বাকি রয়েছে।’ উল্লেখ্য, ৬ উইকেটের জয়ের ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড মাত্র ৯৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ব্ল্যাক ক্যাপরা। রানের খাতা খোলার আগেই কিউই শিবিরে আঘাত হানেন টাইগার স্পিনার নাসুম আহমেদ। ইনিংসের শুরুতেই রাচিন রবীন্দ্রকে শূন্য রানে ফেরান এই ঘূর্ণি জাদুকর। এরপর তার হাত ধরেই দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পায় টিম বাংলাদেশ। এবার তার শিকার ফিন অ্যালেন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ক্যাচ বানিয়ে তাকে সাজঘরে ফেরান নাসুম। অ্যালেনের ব্যাট থেকে আসে ৮ বলে ১২ রান। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন উইল ইয়ং। টম লাথাম ২১ ও ফিন অ্যালেন ১২ রান করেন। এছাড়া আর কেউই দশের ঘরও পেরুতে পারেননি। সফরকারী দলের হয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন এজাজ প্যাটেল। এছাড়া ১টি উইকেট নিয়েছেন কোল ম্যাকঞ্চি। ৯৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট খুইইয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে বাংলাদেশ। টাইগারদের মধ্যে রিয়াদ ৪৩ ও নাঈম শেখ ২৯ রান করেন। নিউজিল্যানের হয়ে দুটি উইকেট নেন অ্যাজাজ প্যাটেল। ৩২ রানে ৩ টপ অর্ডার ফিরে যাওয়ার পর ইনিংস মেরামতের কাজে মনোযোগ দেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অন্য প্রান্তে তার সঙ্গী ছিলেন ওপেনার নাঈম শেখ। দু’জন মিলে দেখে-শুনে খেলতে থাকেন কিউই বোলারদের বিপক্ষে। সিঙ্গেল-ডাবলসেই দলকে এগিয়ে নিয়েছেন দু’জন। তবে রান আউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নিতে হয় ভালোই খেলতে থাকা নাঈমকে। দলের হয়ে নাঈম করেন ২৯ রান। আর মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৪৩ রান। এছাড়া আফিফ হোসেন করেন ৬ রান।
Discussion about this post