ঢাকা: নাশকতা এড়াতে ও ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে রাতে চলাচলকারী ছয়টি লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। অল্পদিনের মধ্যে আরও কয়েকটি বন্ধ করা হবে। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বন্ধ ঘোষণা করা ট্রেনগুলো হলো: ঢাকা-নাঃগঞ্জ রুটে চলাচল করা এক জোড়া কমিউটার ট্রেন, ঈশ্বরদী-রাজশাহী-রোহনপুর রুটে এক জোড়া লোকাল ট্রেন, রাজশাহী-পার্বতীপুর রুটে এক জোড়া মেইল ট্রেন এবং ময়মনসিংহ-ভূয়াপুর ২৫৩/২৫৪ লোকাল ট্রেন। আর ঢাকা-তারাকান্দার মধ্যে চলাচলকারী আন্তঃনগর যমুনার রুট সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনটি চলছে ঢাকা-জামালপুরের মধ্যে। জামালপুর-তারাকান্দা রুট বন্ধ করা হয়েছে। পশ্চিম অঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, মূলত ট্রেনগুলো রাতে যাত্রা করে। আমরা নিরাপত্তা দিতে পারছি না। এজন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। নিরাপদ ট্রেন করতে যা যা করার দরকার অমরা মিটিং করে সেটি করছি। তিনি আরও বলেন, এখন পাইলটিং করার জন্য আগে একটি ট্রেন পাঠানো হবে। পরে মূল ট্রেন যাবে। আর বন্ধ হওয়া ট্রেনের ইঞ্জিন ও জনবলগুলো আন্তঃনগর ট্রেনে ব্যবহার করা হবে। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, বিএনপির আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ততই বাড়ছে বাস ও ট্রেনে নাশকতার ঘটনা। গত মঙ্গলবার আগুন দেয়া হয় ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনে। তিনটি বগিতে লাগা আগুনে মারা যান মা ও শিশুসহ চার জন। একইদিন চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরগামী আন্তঃনগর মেঘনা ট্রেনের একটি বগিতে পাথর নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনায় ট্রেনের একটি বগির গ্লাস ভেঙে গেছে। এর আগে, ১৩ ডিসেম্বর গাজীপুরের ভাওয়াল রেলস্টেশন এলাকায় রেললাইন কেটে ফেলায় ভোর সোয়া ৪টার দিকে ঢাকাগামী ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় একজন নিহত হন।
Discussion about this post