স্পোর্টস রিপোর্ট: নাঈমের সেঞ্চুরি ও সাব্বিরের ফিফটিতে সিরিজে সমতায় ফিরল বাংলাদেশ। বোলাররাও নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলেছেন। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ৪ উইকেটে হেরেছেন। দ্বিতীয়টি জিতে ২-০ সিরিজে সমতা ফিরল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন সামি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একদিনের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলকে ৪৪ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। আগে ব্যাট করতে নেমে প্রতিপক্ষের সামনে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রানের লক্ষ্য দেয় মোহাম্মদ মিঠুনের দল। নির্ধারিত ৫০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রানের বেশি করতে পারেনি স্বাগতিকরা। টস হেরে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নেমে সৌম্য সরকার আজও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। শেমরন লুইসের বলে বোল্ড হওয়া সৌম্য ১০ বল খেলে করেন ৬ রান। তিনে নামা সাইফ হাসান ভালো কিছুর আভাস দিয়েও থামেন ১৯ রান করে। ২৩ বলে ২ চারে ১৯ রান করেন তিনি, বোল্ড হন ব্রায়ান চার্লসের বলে। শুরুর ধাক্কা সামলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯৩ রান যোগ করেন নাঈম শেখ ও অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। ১০৩ রান করে নাঈম আউট হলে তাদের জুটি ভাঙে। নাঈমের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিককে পারেননি মিঠুনও। তার ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। এরপর দলের রান বাড়ানোর দায়িত্ব নেন সাব্বির রহমান। তাকে সঙ্গ দিয়ে ২৪ রান করেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য শাহাদাত হোসেন দিপু। তবে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাব্বির রহমান। ২৭৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল। ৯৪ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন তেগনারায়ন চন্দরপল ও জশুয়া ডি সিলভা। তাদের জুটি ভাঙেন পেসার রেজাউর রহমান রাজা, ৬১ বলে ৩৮ রান করা তেগনারায়নকে ফেরান তিনি। এরপর বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্যও এনে দেন রাজা। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার জশুয়া ডি সিলভাকে আউট করেন ৬৮ রানে। এরপর আর কোনো ব্যাটসম্যানই উইকেটে সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। দুই ওপেনারের পর সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন ব্রায়ান চার্লস। ৩৮ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রানের বেশি করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল। বাংলাদেশের হয়ে ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন পেসার মুকিদুল ইসলাম। এছাড়া ৪৪ রানে ২ উইকেট পান রাজা।
Discussion about this post