ঢাকা: রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান চলাকালে ভাঙচুর এবং পরে লুটপাট অভিযোগ এনে ৫১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ দাবি করেন। তিনি বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও আশপাশে সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন বাহিনীর যে নির্মম নিষ্ঠুরতা ও বর্বর আচরণ দেশবাসী তা প্রত্যক্ষ করেছেন। কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, হার্ডডিস্ক, নথিপত্র, ব্যাংকের কাগজপত্র, নগদ অর্থ লুট করা প্রকৃতপক্ষে একটি ডাকাতির ঘটনা। এ ঘটনা শুধু বিজয়ের মাসকে কলঙ্কিত করেনি, গণতন্ত্র হত্যাকারী ও বারবার গণতন্ত্র হত্যায় সহায়তাকারী ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকারের অগণতান্ত্রিক, কর্তৃত্ববাদী ও গণবিরোধী পরিচয় উৎকটভাবে পুনরায় প্রকাশ করেছে। খন্দকার মোশাররফ বলেন, ওই দিন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি হামলার পর পুলিশের ছত্রছায়ায় ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর ও মালামাল লুটে অংশ নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা আমাদের জানিয়েছেন। এতে নগদ অর্থসহ ক্ষতি ও লুট হওয়া সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ৫০ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা। পুলিশ নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে চাল উদ্ধারের কথা বলেছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। মামলার এজাহারেও চালের কথা নেই। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জড়িত পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। তিনি বলেন, নির্যাতন, বর্বর অত্যাচার, জেল-জুলুম সত্ত্বেও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে দুর্বল করা যায়নি। বরং তা আরও বেগবান হয়েছে। সরকারি দল ও পুলিশ বাহিনীর নানা বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে জনগণ ১০ ডিসেম্বরের জনসমাবেশ সফল করেছে। আমরা সংগ্রামী দেশবাসী ও সাহসী নেতাকর্মীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। বিএনপি মধ্যপন্থি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। আমরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামী রয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা কতিপয় দাবি নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনে নামার জন্য সব গণতান্ত্রিক দল, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো আমাদের যুগপৎ আন্দোলন শুরু হয়নি। কাজেই এখন বলা যাবে না কে আছে বা কে নেই।
Discussion about this post