আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে দেশে ফিরতে নতুন পাসপোর্ট দিয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। ‘জরুরি’ ক্যাটাগরিতে গত ২৩ এপ্রিল শাহবাজের ভাই নওয়াজের জন্য ১০ বছর মেয়াদী এই পাসপোর্ট ইস্যু করা হয় বলে দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক খবরে বলা হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার দেশটির নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেছিলেন, ‘কূটনৈতিক পাসপোর্ট নওয়াজ শরিফের অধিকার এবং খুব শিগগিরই তা ইস্যু করা হবে।’ মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, যে ব্যক্তি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী তাকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’ গত ১১ এপ্রিল পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং মুসলিম লীগের (নওয়াজ) প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ দেশটির ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এর পরদিন পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) সিনিয়র নেতা মিয়া জাভেদ লতিফ বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) প্রতিষ্ঠাতা নওয়াজ শরিফ ঈদের পরে পাকিস্তানে ফিরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’
নওয়াজ শরিফের মামলা
২০১৯ সালের ২১ এবং ২২ অক্টোবরের মধ্যে রাতে নওয়াজ শরিফের অবস্থার অবনতি হয় এবং তাকে একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
২৫ অক্টোবর নওয়াজকে চৌধুরী সুগার মিলস মামলায় চিকিৎসার ভিত্তিতে জামিন দেয়া হয়েছিল।
২৬ অক্টোবর আল-আজিজিয়া মামলায় মানবিক কারণে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়া হয়।
২৬ অক্টোবর নওয়াজ শরিফ হালকা হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন।
২৯ অক্টোবর চিকিৎসার কারণে আল-আজিজিয়া মামলায় সাজা দুই মাসের জন্য স্থগিত করা হয়।
তাকে নওয়াজ শরিফ সার্ভিসেস হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং জাতি ওমরাতে স্থানান্তর করা হয়।
৮ নভেম্বর শাহবাজ শরিফ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নওয়াজ শরিফের নাম এক্সিট কন্ট্রোল লিস্ট (ইসিএল) থেকে বাদ দেয়ার অনুরোধ করেন।
১২নভেম্বর ফেডারেল মন্ত্রিসভা নওয়াজ শরিফকে শর্তসাপেক্ষে দেশ ত্যাগের অনুমতি দেয়।
১৪ নভেম্বর পাকিস্তান ,মুসলিম লীগ (এন) লাহোর হাইকোর্টে ক্ষতিপূরণ বন্ডের শর্তকে চ্যালেঞ্জ করে।
১৬ নভেম্বর লাহোর হাইকোর্ট নওয়াজ শরিফকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়। ১৯ নভেম্বর নওয়াজ শরিফ তার চিকিৎসার জন্য লন্ডন চলে যান।
Discussion about this post