আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের হামলার আগে কাতারকে সতর্ক করা হয়েছিল—হোয়াইট হাউসের এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে দোহা।কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফোন আসে ‘বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাওয়ার সময়’।হোয়াইট হাউস মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ কাতারকে আগাম জানাতে চেষ্টা করেছিলেন।তবে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল-থানি বলেছেন, ‘ওয়াশিংটনের নোটিশ আসে হামলা শুরুর দশ মিনিট পর।’তিনি ঘটনাটিকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ ও সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন’ বলে আখ্যা দেন।ট্রাম্প পরে দুঃখ প্রকাশ করে জানান, এটি ছিল প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর একক সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, ‘আমার দূত কাতারকে সতর্ক করতে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তা দেরি হয়ে গিয়েছিল।’ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দেন, এমন ঘটনা আর ঘটবে না।হামাস নিশ্চিত করেছে, পাঁচ সদস্য নিহত হলেও মূল আলোচক দল বেঁচে গেছে। সংগঠনটি অভিযোগ করে, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে শান্তি প্রচেষ্টা ভণ্ডুল করতে চেয়েছে, কারণ নিহতরা ট্রাম্পের নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিলেন। হামাস যুক্তরাষ্ট্রকেও দায়ী করে বলেছে, ইসরায়েলকে অন্ধ সমর্থন দিয়ে ওয়াশিংটন এই হামলার অংশীদার হয়েছে।কাতার এর আগে একাধিক যুদ্ধবিরতি মধ্যস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। হামলার পর ট্রাম্প আবারও বলেন, ‘ইসরায়েল আমার শর্ত মেনে নিয়েছে, এখন হামাসকেও মানতে হবে।’ তিনি সতর্ক করেন, হামাস অস্বীকার করলে তার পরিণতি ভোগ করতে হবে।
Discussion about this post