ঢাকা: দেশের সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়ার কথা জাতীয় সংসদে তুলে ধরাই হচ্ছে সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম ভাষণে রাষ্ট্রপতি বলেন, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের জনগণ ও গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। কোন ষড়যন্ত্র যেন দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা ব্যাহত করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। জাতীয় সংসদ কে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের সর্বোচ্চ ধারক ও বাহক উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়ার কথা জাতীয় সংসদে তুলে ধরাই হচ্ছে সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। নবীন সংসদ সদস্যরা অভিজ্ঞদের কাছ থেকে নির্দেশনা নিয়ে নিজেদেরকে দক্ষ পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে গড়ে তুলবেন এটাই আমার প্রত্যাশা। মঙ্গলবার(৩০ জানুয়ারি) বিকেলে রাষ্ট্রপতির ভাষণের মধ্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পথচলা শুরু হয়। একাদশ সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের শুরুতে ওবায়দুল কাদেরের প্রস্তাব ও নুর আলম চৌধুরী লিটনের সমর্থনে একক প্রার্থী হিসেবে স্পিকার নির্বাচিত হন ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতির কক্ষে দ্বাদশ সংসদের নতুন স্পিকারকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। এরপর নবনির্বাচিত স্পিকারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় জাতীয় সংসদের অধিবেশন। স্পিকারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সরকারি এবং বিরোধী দলের সদস্যরা। নতুন স্পিকার পরবর্তীতে এ বি তাজুল ইসলামের প্রস্তাব ও মকবুল হোসেনের সমর্থনে শামসুল হক টুকুকে ডেপুটি স্পিকার হিসেবে নির্বাচন করেন। পরে সংসদের পাঁচজন সদস্যকে প্যানেল স্পিকার নির্বাচন করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিকেলের বিরতির পর সংসদের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে এটিই ছিল তার প্রথম ভাষণ।
Discussion about this post