ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবং বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী সিলেটে নির্বাচনী জনসভায় ‘নৌকা নূহ নবী’কে রক্ষার বাহন’ বলে যে মন্তব্য করেছেন, তার জবাবে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ভোটের আগে নৌকা হয় ‘নূহ নবীর’ আর ভোটের পরে আওয়ামী লীগের নৌকা হয়ে যায় শ্রীকৃষ্ণের! আজীবন আওয়ামী লীগ মন্দিরে গিয়ে নৌকা’কে শ্রীকৃষ্ণের বাহন বলেছে এখন মাজারে গিয়ে নূহ নবী’কে রক্ষার বাহন বলে প্রচারণা চালাচ্ছে। সত্যিই আওয়ামী লীগ একটি জোকার রাজনৈতিক দল! ভোট আসলেই আওয়ামী লীগ মুসলিম -হিন্দুদের ভোট পাওয়ার কৌশল খোঁজে। আজ বৃহস্পতিবার ২১ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টায় শেখ হাসিনার পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তির দাবীতে পল্টন, প্রেসক্লাব এলাকায় গণসংযোগ এবং লিফলেট বিতরনকালে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। এসময় বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগের বাঁচার এখন একমাত্র পথ পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। এছাড়া সরকারের বাঁচার কোন রাস্তা নেই। বাংলাদেশের জনগণ এই সরকারের উপর আর বিন্দু মাত্র আস্থা রাখতে পারছে না। দেশের অর্থনীতি ও জনগণের জীবন-জীবিকা এই সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণ এই সরকারের কাছ থেকে এখন মুক্তি চায়। জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, আওয়ামী লীগের নেত্রী এবং অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন দেশে-বিদেশে অকেজো সরকার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি নাই, তবে শীঘ্রই জনগণ পতনের গ্যারান্টি কার্ড আওয়ামী লীগের হাতে ধরিয়ে দিবে। ভালোই ভালোই পদত্যাগ করুন অন্যথায় অনেক বেদনা নিয়ে বিদায় নিতে হবে। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেন, এই আওয়ামী লীগ সেই আওয়ামী লীগ যে, আওয়ামী লীগ মন্দিরে গিয়ে কপালে তিলক লাগায় আর মুসলমানদের দাঁড়ি ধরে টেনে কারাগারে পাঠায় এবং ভোটের আগে নবী রাসূলের বয়ান চালায়। তবে আওয়ামী লীগের মনে রাখা ভালো শাপলা চত্বরে আলেম ওলামাদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি! কারাগারে আলেম-ওলামারা মুক্তি এখনো পায়নি। ইনশাআল্লাহ সব হিসেব নেওয়ার সময় এসে গেছে। প্রতিশোধ জনগণ সময় মতই নিবে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ শামসুদ্দীন পারভেজ। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ এলডিপির এম এ বাশার, শেখ ফরিদ উদ্দিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী এম এ কাশেম ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির শরীফুল ইসলাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আবু মোহাম্মদ হানিফ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের আবু মনসুর ভুইয়া, যুব জাগপার মনোয়ার হোসেন, এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, প্রমূখ।
Discussion about this post