কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাগরে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও অপরজনের মৃত্যু হয় গোসলে নেমে। তবে সাগরে গোসলে নেমে প্রাণহানির ঘটনার জন্য পর্যটকের অসচেতনতাকে দুষছেন লাইফ গার্ড কর্মীরা।তবে ‘সতর্কতাই নিরাপত্তার পূর্বশর্ত’ এই স্লোগানে সমুদ্রের পানিতে নামার আগে করণীয় ও সতর্কতার ব্যাপারে ১০ দিনব্যাপী ক্যাম্পেইন শুরু করেছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসক। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। তাই সৈকতে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। এই উপচে পড়া পর্যটকদের সাগরে নামার আগে করণীয় ও সতর্ক করতে ১০ দিনের ক্যাম্পেইন শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। এরপর পর্যটকদের সামনে উপস্থাপন করা হয় সাগরে নামার ক্ষেত্রে কি কি ঝুঁকি রয়েছে এবং নির্দেশনা মানতে হবে। আর সৈকতের বালিয়াড়িতে টাঙানো হয়েছে নির্দেশনা সম্বলিত সাইনবোর্ড। এই সচেতনতা ক্যাম্পেইনের দিনই দুই ঘণ্টার ব্যবধানে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ১টার দিকে সৈকতের সী গাল পয়েন্টে সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয় অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের মরদেহ। যার গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ সহকারী পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম। আর বিকেল ৩টার দিকে একই পয়েন্টে গোসলে নেমে সাগরে ভেসে যায় এক পর্যটক। পরে তাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে আনা হয় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আর জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানালেন, পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে নিরাপত্তায় নানা কার্যক্রম নিয়েছে প্রশাসন। চলতি বছরে সাগরে গোসল করতে নেমে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। আর শুক্রবার উদ্ধার দুই জনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
Discussion about this post