স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর মুগদার মান্ডায় দুই গ্রুপের মারামারিতে রাকিবুল ইসলাম রাতুল (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তিনি মাদারটেক আব্দুল আজিজ স্কুল এন্ড কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ১ম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। সোমবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মান্ডা প্রথম গলিতে এই ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে চিকিৎনাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম খান জানান, এক রিকশা চালক সন্ধ্যার পরে আহত রাতুলকে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। খবর পেয়ে ওই হাসপাতাল থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারিতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। স্বজনরা জানান, যশোর সদর উপজেলার ধানঘাটা গ্রামের আতিকুর রহমানের তিন ছেলের মধ্যে মেঝো রাতুল। বর্তমানে খিলগাঁও ত্রিমহোনী মাদবর বাড়ি রোডে থাকতেন। হাসপাতালে রাতুলের বন্ধু মো. পারভেজ ও মো. ফাহিম জানান, রাতুলের পরিবার বর্তমানে খিলগাঁও থাকলেও এর আগে মান্ডা এলাকায় ভাড়া থাকতেন। সেই খাতিরে এখনও মান্ডা এলাকাতে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন রাতুল। গত শনিবার রাতে তাদের এলাকার বড় ভাই সজিব মান্ডার ১ম গলি দিয়ে যাওয়ার সময় এলাকারই হিরা ও রবিউল সজিবের সঙ্গে তর্কে জড়ায়। তখন সজিব রবিউলকে একটি থাপ্পর দেয়। এরপর তারা সেখান থেকে চলে গেলেও গতকাল রবিবার রাতুলসহ তার বন্ধুরা ওই এলাকায় আড্ডা দেওয়ার সময় তাদেরকে মারধর করে হিরা ও রবিউল গ্রুপ। এতে দুই পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়। হাসপাতালে আহত সজিবের পিঠে ৮টি সেলাই করা হয়। রবিবার রাতেই দুই পক্ষ থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করে। তারা আরও জানান, সোমবার সন্ধ্যার পরে হিরা ফোন করে মিমাংশার জন্য তাদেরকে ডেকে নেয়। তখন তারা ৫-৬ জন ওই গলিতে পৌঁছালে হিরা ও রবিউল গ্রুপ তাদের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত আক্রমণ করে। এতে বাকি সবাই দৌড়ে চলে আসতে পারলেও তাদের হাতে আটকা পড়ে রাতুল। তখন হিরা, রবিউল, নাসির, আশিক, রাকিব, মঙ্গল, সজল, সাগর, শাওন সহ ২০/২৫ জন রাতুলকে মারধর করে ও মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। আহত রাতুলকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। রাতেই সেখানে তার মৃত্যু হয়।
Discussion about this post