মোস্তাফিজুর রহমান সুজন(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালী শহরে ও বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রাম গঞ্জের এলাকায় তীব্র গরমের কারনে চায়ের দোকানে ক্রেতা কম হওয়ায় নিম্ন আয়ের চা ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পরেছেন। চায়ের দোকানে ঘুরে ফিরে দেখা যায় অতিরিক্ত গরমের কারনে চায়ের কাস্টমার নেই দোকানে একদিকে গরম অন্যদিকে মালামালের দাম বৃদ্ধি যারা দুধের চা বা কনডেন্স মিল্ক কৌটার চা খেতেন তারা এখন গরমের কারনে খাচ্ছেন রং চা। চায়ের দোকানে চা কাস্টমার অটোরিকশা গ্যারেজ মালিক মো. সুলতান বলেন আমি দিনে তিন থেকে পাঁচ কাপ চা খাই কিন্তু গরমের কারনে চায়ের দোকানে আসিনা আসলেও দুই কাপ চা খাওয়া পরে দুধ চা গরমে খাইনা। দোকান মালিক মনির বলেন, গরমের কারনে চা বিক্রি কম হচ্ছে আগে প্রতিদিন দিনে ৩’শ থেকে ৪’শ কাপ চা বিক্রি হতো এখন তা কমে দেড়শ থেকে ২’শ কাপে নেমে এসেছে। চা বিক্রেতা আব্দুস সোবহান ও মানিক বলেন একদিকে চিনি ও বিভিন্ন মালামালের দাম বারার কারনে আমাদের চায়ের দোকানের ব্যবসায় ধস নেমে আসছে তার ওপরে গরম টাও কয়েক দিন ধরে বেশি পরছে। আমাদের দোকানে বেশির ভাগ কাস্টমার হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ রিক্সা ওয়ালা ও অটোরিকশা চালিত কাস্টমার তারা গরমে রিক্সা ভ্যান চালাতে পারেনা তাই চায়ের দোকানে কাস্টমার কম হচ্ছে। এদিকে দেখা যাচ্ছে অতিরিক্ত গরমের কারনে বেশ কিছু চায়ের দোকান বন্ধ করে রাখছে তারা বলেন গরমে অস্থির হয়ে যাচ্ছি বিকালে দোকান খুলবো আগে বাঁচতে হবে তাই দোকান বন্ধ করে বাসায় যাইতেছি। গতকাল পটুয়াখালীতে সর্বচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস আজকে একট কম ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃষ্টি হলে বা তাপমাত্রা কমলে আবার হয়তো কাস্টমার বাড়বে।
Discussion about this post