ঢাকা: বাংলাদেশের গণভবন এখন জনগণের দখলে। গণভবন হল সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি অফিস ও বাড়ি। সেই বাড়িতে হু হু করে লোক ঢুকে পড়েছে। সেনাবাহিনী কিংবা পুলিশ কেউই তাদের বাধা দেয়নি বলে এখনও পর্যন্ত খবর। জানা যাচ্ছে দেশ ছাড়ার আগে হাসিনা রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পর কাছে পদত্যাগ পত্র পেশ করেছেন। তিন দিন আগে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তখন জানানো হয় হাসিনা ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন কোটা আন্দোলনের নামে শ্রীলংকা মডেলে তাকে ক্ষমতা থেকে গদিচ্যুত করার চেষ্টা হয়েছিল। দেখা গেল আন্দোলনের দ্বিতীয় দফাতে সেই শ্রীলঙ্কা মডেলেই গণঅভ্যুত্থান সম্পন্ন হল বাংলাদেশে। দু বছর আগে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন শাসক রাজাপক্ষে পরিবারকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল গণঅভ্যুত্থানের কারণে। তবে হাসিনা তথা আওয়ামী লিগের জন্য চরম লজ্জা ও দুর্ভাগ্যের হল বাংলাদেশের স্থপতির নাম শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি একাধারে শেখ হাসিনার পিতা এবং আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর ডাকেই পূর্ববঙ্গের মানুষ স্বাধীন বাংলাদেশের দাবিতে পাকসেনার যুদ্ধ করে। ৩০ লাখ মানুষ শহিদ হন। উদ্বাস্তু হয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে হয় এক কোটি মানুষকে। সেই মুজিবকে হত্যার মাস শোকাবহ অগাস্টে দেশ ছাড়তে হল তাঁর দুই কন্যা হাসিনা ও রেহানাকে।
Discussion about this post