স্টাফ রিপোর্টার: বৃহস্পতিবার(১৫ আগস্ট) দুপুরে দিকে খবর পেয়ে ঢাকা বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা গোপন সংবাদ পেয়ে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার মোঃ রিয়াজ উদ্দিন ও নতুন ভবনের ওয়ার্ড মাস্টার মোঃ জিল্লুর রহমানের রুমে অভিযান চালিয়ে শিক্ষার্থীরা রুম থেকে মদের বোতল,পুলিশ কেস সিল, ধারালো অস্ত্র,বেসরকারি হাসপাতালের ভিজিটিং কার্ড,আবাসিক হোটেলে ভিজিটিং কার্ড,ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তালিকা জব্দ করা হয়।এই সময় আরো ৩ জনকে আটক করা হয় তারা হলেন, মোঃ তৌহিদুল ইসলাম,আকিবুল হাসান ও সুমন ইসলাম। অভিযান পরিচালনাকারী এক শিক্ষার্থী জানান,আমরা খবর পেয়ে জরুরি বিভাগে এসে জানতে পারি যারা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়। এই সবের সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য আমরা জরুরী বিভাগে ওয়ার্ড মাস্টার রিয়াজ উদ্দিনের রুমে গিয়ে অভিযান পরিচালনা করি।অভিযানের সময় তার রুম থেকে মদের বোতল ধারালো অস্ত্র পুলিশ কেসের সিল বিভিন্ন অবৈধ আইডি কার্ড ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন নামে তালিকাসহ কাগজপত্র পাওয়া যায়।তাকে জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা স্বীকার করে জানান,তিনি বিভিন্ন আইসিইউতে রোগী পাঠিয়ে প্রত্যেক রোগীর কাছে থেকে মোটা অংকে টাকা নিয়ে থাকে। এই সময় তার অন্যতম দুই সহযোগী আটক করা হয়।পরে পরিচালকের রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। অপরদিকে নতুন ভবনে ওয়ার্ড মাস্টার মোঃ জিল্লুর রহমান বিভিন্ন লোকের কাছে থেকে তিন লক্ষ টাকা নিয়ে লোক নিয়োগ দেন। সেই অভিযোগে তাকেও ধরে আনা হয়। প্রশাসনিক ব্লকে।পরে তিনি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে।পরে আনসার সদস্যরা আটক করে পরিচালকের রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা জানান,এইসব অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে অপরাধীদে সঠিক বিচারের দাবি ও তাদের বরখাস্তসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি এসব অপকর্ম সাথে জড়িত কর্মচারীদের মেডিকেলে দেখতে চান বলেও জানান তিনি। ঢামেক হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান শিক্ষার্থীদের নিয়ে কনফারেন্স রুমে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন ও তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন আপনারা যেসব জিনিস তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছেন সেগুলো আমাদের কাছে জমা দিয়ে যান। আমরা একটি তদন্ত কমিটি করে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেব বলেও জানান তিনি।সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নিয়মানুসায়ী যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আমরা সেই ব্যবস্থাই নিব।
Discussion about this post