ঢাকা: বাংলাদেশে পিটার হাসের উত্তরসূরি হিসেবে নতুন কেউ না আসা পর্যন্ত সাবেক কূটনীতিক ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত (চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স-সিডিএ) হিসেবে ঢাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। মূলত বাংলাদেশে সংস্কারপ্রক্রিয়া ও গণতান্ত্রিক উত্তরণে অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালনের জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। বিষয়টি জানিয়ে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কূটনৈতিক চিঠি দিয়েছে। ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন দীর্ঘ ও সম্মানজনক কূটনৈতিক ক্যারিয়ারে তিনি তিনবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং কসোভোতে দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি জ্যাকবসন নেয়ার ইস্টার্ন অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোতে সিনিয়র অ্যাডভাইজর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় ইউএস দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ছিলেন। বিদেশে উচ্চপর্যায়ের নেতৃত্বের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন ফরেন সার্ভিসের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি প্রফেশনাল অ্যান্ড এরিয়া স্টাডিজ স্কুলের ডিন এবং ন্যাশনাল ফরেন অ্যাফেয়ার্স ট্রেনিং সেন্টারের ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। জ্যাকবসন ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি এবং সিনিয়র ডিরেক্টর ফর অ্যাডমিনিস্ট্রেশন হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি লাটভিয়ার রিগায় ইউএস দূতাবাসে ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক এবং একই প্রতিষ্ঠানের স্কুল অফ অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ট্রেসি জ্যাকবসন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে সেক্রেটারি’স ডিস্টিংগুইশড সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড, দুটি প্রেসিডেনশিয়াল র্যাঙ্ক অ্যাওয়ার্ড এবং কসোভোর “ইব্রাহিম রুগোভা” শান্তি, গণতন্ত্র ও মানবতাবাদ পদক।
Discussion about this post