ঢাকা: আগামী ৩১ আগস্ট ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির ঢাকা সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বাংলাদেশ ইতালির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে বিশেষ গুরুত্ব দেবে। অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করে বৈধ অভিবাসন বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যবসা, বিনিয়োগ এবং নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে শীর্ষে থাকবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতালির প্রধানমন্ত্রী আগামী ৩০ আগস্ট সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছাবেন এবং ৩১ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একান্ত আলোচনা ও মধ্যাহ্নভোজ শেষে ঢাকা ত্যাগ করতে পারেন। গতকাল রোববার (২০ জুলাই) সকালে পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়ামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে মেলোনির আসন্ন দ্বিপক্ষীয় সফরের আলোচ্যসূচি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে অংশ নেওয়া জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানান, গত মে মাসে সই হওয়া ‘মাইগ্রেশন অ্যান্ড মোবিলিটি’ বিষয়ক সমঝোতা স্মারকটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি এবং এটি আগস্টের শীর্ষ বৈঠকে আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এই সমঝোতা স্মারকের লক্ষ্য হলো ইতালিতে বৈধ পথে অভিবাসন বৃদ্ধি এবং ইতালির ‘সিজনাল’ ও ‘নন-সিজনাল’ উভয় ধরনের কর্মী নেওয়ার সুযোগ তৈরি করা। বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এবং ইতালির পক্ষে সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি এই স্মারকে সই করেন। এছাড়াও, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনাও আলোচনায় আসবে। বর্তমানে ইতালির সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি চামড়াজাত পণ্যও ইতালিতে রপ্তানি হয়। ইতালীয় প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে বলে কর্মকর্তারা মনে করেন। নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। এটিই হবে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পশ্চিমা কোনো দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রথম ঢাকা সফর। এর আগে ১৯৯৮ সালের জানুয়ারিতে ইতালির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রোমানো প্রোদি ঢাকায় এসেছিলেন।
Discussion about this post