আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ে অনেক মার্কিন নাগরিকই বেশ হতাশ হয়েছেন। এরই মধ্যে বহু মার্কিন নাগরিক দেশ ছাড়ার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তারা অন্য কোনো দেশে চলে যেতে চাচ্ছেন। এই তালিকায় আছেন হলিউডের বহু তারকারাও। কিছুদিন আগেও কমলা হ্যারিসের সমাবেশে হাজির হয়েছিলেন অকেন তারকা, সমর্থন করেছিলেন তাকে। তবে কমলা হ্যারিসকে ট্রাম্পের বিজয়ে ‘হতাশ’ তারা। হলিউডের যেসব তারকা মার্কিন মুলুক ছাড়তে চাইছেন তালিকাটি দেখে নেওয়া যাক। শ্যারন স্টোন: হলিউড অভিনেত্রী শ্যারন স্টোন যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে ইতালি চলে যেতে চাইছেন। চলতি বছর জুলাই মাসেই ‘বেসিক ইনস্টিংক্ট’ ছবির অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, মার্কিন মুলুক ছেড়ে ইতালি চলে যাবেন তিনি। সেখানে তার একটি বাড়িও আছে। কারও নাম না উল্লেখ করে ‘নিউ ইয়র্ক পোস্ট’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্যারন বলেছিলেন, ‘এই প্রথম এমন কাউকে দেখলাম, যিনি এত ঘৃণা ও অত্যাচারের পরিবেশের মধ্যে থেকেও প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে নামতে পেরেছেন।’ রাভেন-সাইমন: ২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিলেন, অভিনেত্রী রাভেন-সাইমন জানিয়েছিলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে দেবেন। মার্কিন মুলুকে তার ভবিষ্যৎ নাকি অন্ধকার। মিনি ড্রাইভার: ইতোমধ্যে যিনি যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে গেছেন ৫৪ বছর বয়সি ব্রিটিশ অভিনেত্রী মিনি ড্রাইভার। চলতি বছরের জুলাই মাসেই ‘দ্য টাইমস’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিনি জানিয়েছিলেন, লস অ্যাঞ্জেলেসে তিন দশক থাকার পর ইউকে-তে ফিরে গিয়েছেন মিনি। ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনার কথা আঁচ করে আগেই বলে দিয়েছেন, ‘ট্রাম্প এলে আমি হয়ত আর ফিরব না।’ সোফি টার্নার: ব্রিটিশ অভিনেত্রী সোফি টার্নার অভিনয় করেছিলেন ‘গেম অফ থ্রোনস’-এ। ট্রাম্পের জয়ের পর তিনিও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন মুলুক থেকে চলে যাবেন জন্মস্থান ইউকে-তে। চের: এই মার্কিন অভিনেত্রী-গায়িকা চিরকালই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন। একবার জানিয়েছিলেন, ট্রাম্পের প্রেসিডেনশিয়াল রুলের সময় তার স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে গিয়েছিল। ২০২৩ সালে ’দ্য গার্ডিয়ান’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চের বলেছিলেন, ‘গতবার আমার আলসার হয়ে যাচ্ছিল! এবারও যদি তিনি প্রেসিডেন্ট হয়ে ফিরে আসেন, আমাকে দেশে ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হবে।’
Discussion about this post