টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করায় টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র হচ্ছে ভাঙন। ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার সময়টুকুও পাচ্ছেন না। সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছে শত শত মানুষ। আবারও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি ভাঙনকবলিতদের।এভাবেই ভিটেমাটি হারিয়ে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার আলিপুর এলাকার বিধবা জায়েদা বেগমের মতো সর্বস্বান্ত হয়েছেন অনেকেই। গত এক সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীর পানি কমতে থাকায় নদীভাঙন ভয়াবহ হওয়ায় মানুষজন তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও সরিয়ে নেওয়ার সুয়োগ পাচ্ছেন না। চোখের সামনে বাড়িঘর বিলীন হচ্ছে নদীগর্ভে। অনেকে নদীপাড়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি ভাঙনকবলিত মানুষের। ভাঙনকবলিত মানুষ বলেন, ভাঙনে আমার বাড়িঘর সবকিছু ভেসে গেছে। কোনোরকমভাবে আমাদের ঘরগুলো নামিয়ে রেখেছি। আমরা কোথায় যাব কি করব কিছু বুঝতে পারছি না। এই নদীটা যদি সরকার একটু বেঁধে দিত তাহলে একটু বেঁচে থাকতে পারতাম। এদিকে ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, নদীভাঙনের ফলে নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। আমরা সেখানে কাজ বাস্তবায়ন করে সেটা প্রতিহত করার চেষ্টা করব। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরে টাঙ্গাইলের ৪ উপজেলায় ৪২২টি বাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে।
Discussion about this post