বগুড়া প্রতিনিধি: ব্যবসায়ীর ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ছিনতাই নাটক সাজিয়ে কারাগারে গেছেন দুই বন্ধু। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায়। বৃহস্পতিবার দুই প্রতারক বন্ধুকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার দুপুরে নন্দীগ্রাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের প্রেসব্রিফিংয়ে বিষয়টি জানান। গ্রেপ্তারা হলেন, নন্দীগ্রাম উপজেলার বিলশা গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে জিয়াউল হক জিয়া (৩৩) ও বেলঘড়িয়া গ্রামের মকবুল হোসেন মেম্বারের ছেলে সোহেল রানা (৩০)। প্রেসব্রিফিংয়ে নন্দীগ্রাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ধান ব্যবসায়ী মিনার আলীর সাথে নন্দীগ্রামের জিয়াউল হক ও তার বন্ধু সোহেল রানার ধান ব্যবসা নিয়ে সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারা এ উপজেলা থেকে ধান কেনার পর বিভিন্ন কোম্পানিতে সরবরাহ করত। ব্যবসায় লেনদেনের টাকা থাকত সোহেল রানার ব্যাংক একাউন্টে। সম্প্রতি মিনার আলীর টাকা আত্মসাতের পরিকল্পনা করেন দুই বন্ধু জিয়াউল হক ও সোহেল রানা। গত বুধবার এরোমেটিক এগ্রো এন্ড ফুড লিমিটেডের মালিক ধান ব্যবসার ২১ লাখ টাকা সোহেলের একাউন্টে পাঠিয়ে দেন। ওই দিনই ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে উঠিয়ে নেন গ্রেপ্তার দুই বন্ধু। পরে সন্ধ্যার দিকে মিনারকে ফোন করে সোহেল জানায়, ব্যাংক থেকে ফেরার পথে টাকাগুলো ছিনতাই হয়ে গেছে। স্থানীয় এক মেম্বরের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি সাজানো নাটক হিসেবেই সন্দেহ হয় পুলিশের। এ ঘটনায় বুধবার রাতেই জিয়াউল হক ও সোহেল থানায় টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তারা লিখেছিলেন, ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে জিয়াউল হক জিয়া মোটরসাইকেলযোগে ফেরার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তার টাকার ব্যাগ ছিনতাই হয়। তবে জিয়া ও সোহেল ভেবেছিলেন, থানায় অভিযোগ করলেই পুলিশ তাদের আর সন্দেহ করবে না। পরে পৌরসভার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে টাকা ছিনতাই নাটকের রহস্য উন্মোচন করে পুলিশ। পরে জিয়াউল ও সোহেলকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পৌরসভার ওমরপুর এলাকার এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। বাকি এক লাখ টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গ্রেপ্তার দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Discussion about this post