আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জ্বালানির মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগে কারণে পশ্চিমা সমর্থিত চেক রিপাবলিকান সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে দেশটির উগ্র বাম ও ডান গোষ্ঠীর সমর্থকরা। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি ও জ্বালানি-বিদ্যুতের দামবৃদ্ধি মোকাবেলায় সরকার নিষ্ক্রিয়, বিরোধীদের এমন অভিযোগের মধ্যে হওয়া অনাস্থা ভোটে সরকার উৎরে যাওয়ার একদিন পর শনিবার ওয়েনসেসলেস চত্বরে এই বিশাল বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ জানায়, প্রায় ৭০ হাজার বিক্ষোভকারী বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভের অন্যতম আয়োজক জিরি হাভেল বলেন, ‘‘পরিবর্তনের দাবি নিয়ে আমরা এই বিক্ষোভ করছি। মূলত গ্যাস-বিদ্যুতের দামের ইস্যুটাই মুখ্য, এটা এই শরতে আমাদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেবে।’’ চলতি সপ্তাহে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস সংস্থা গ্যাজপ্রম। একারণে আগামী শীতে ইউরোপে জ্বালানির দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। আর জ্বালানির দাম নাগরিকদের নাগালে রাখতে সরকারগুলোকে অতিরিক্ত হাজারো কোটি ডলার ব্যয় করতে হবে। এ কারণে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী পিতর ফায়ালা বিক্ষোভকারীরা দেশের স্বার্থ পরিপন্থি আন্দোলন করছে বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘যারা ওয়েনসেসলেস চত্বরে বিক্ষোভ ডেকেছে, তারা রাশিয়াপন্থি, উগ্রবাদীদের কাছাকাছি তাদের অবস্থান এবং তারা চেক প্রজাতন্ত্রের স্বার্থবিরোধী।’’ পশ্চিমা মিত্র চেক রিপাবলিকান ইউক্রেনে সামরিক হামলায় রাশিয়ার কড়া সমালোচনা জানিয়েছে। দেশটি ইউক্রেনের বাহিনীদের ভারী অস্ত্রসহ সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করেছে। আর মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাশিয়ার উপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বিক্ষোভকারীরা ইউক্রেনকে সমর্থনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। এছাড়া, গ্রিন হাউজ গ্যাস নিয়ন্ত্রণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ব্যর্থতার অভিযোগে ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও সমালোচনা করেছে। চেক রিপাবলিক দুইটি সংগঠনেরই সদস্য। ইউরোপে জ্বালানি সংকট নিরসনে আগামী সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠকের পরিকল্পনা করছে চেক রিপাবলিক।
Discussion about this post