ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। বাইডেনকে প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নে তাঁর সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন। বাইডেন ধৈর্য ধরে তা শুনেছেন। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. মোমেন বলেন, তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শক্রমে বাইডেনের কাছে গিয়ে তাঁর পরিচয় দেন। তিনি বাইডেনকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান। জবাবে বাইডেন বলেন, অবশ্যই। এক পর্যায়ে বাইডেনকে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে তাঁর বাবা-মাসহ পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যকে হত্যা করা হয়। এখন দেশের জনগণই তাঁর পরিবার। জনগণের জন্য তিনি নানা উন্নয়নমূলক কাজ করছেন। কেউ যাতে গৃহহীন না থাকে সেজন্য কাজ করছেন তিনি। জবাবে বাইডেন বলেন, তিনি এসব জানেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, শেখ হাসিনা ও বাইডেনের মধ্যে আলোচনা চলাকালে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কন্যা অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুল উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রতিবন্ধীদের নিয়ে তাঁর কাজ সম্পর্কে বাইডেনকে অবহিত করেন। বাইডেন তাঁর কাজ সম্পর্কে আগ্রহ দেখান। তিনি সায়মার কাছে কন্টাক্ট নাম্বার চান। এ সময় সায়মা তাঁর কার্ড বাইডেনকে দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তাদের আলোচনার সময় জাতির পিতার কন্যা শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এ সময় অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ জিয়াউদ্দিন তাঁর ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে চাইলে বাইডেন নিজেই ওই ক্যামেরাটি নিয়ে সেলফি তোলেন। সায়মা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স, পূর্বের টুইটারে লিখেছেন, নয়াদিল্লিতে জি২০ সামিটে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে চমৎকার আলাপ হয়েছে। তিনি যোগ করেন, ‘আমি তাঁর সঙ্গে সার্বিক জনস্বাস্থ্যের অংশ হিসেবে মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবার গুরুত্ব এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় স্কুল মনোবিজ্ঞানীর বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। ’ সায়মা ওয়াজেদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর নিজের বেশ কিছু ছবি আপলোড করেছেন, যেখানে তাদের হাসিমুখে দেখা গেছে। একটি ছবিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনকেও দেখা গেছে।
Discussion about this post