কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় হাঁসুয়ার কোপে কবজি হারানো কলেজ শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেন এখন শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। দেড় ঘণ্টা অপারেশন শেষে মঙ্গলবার (৩১ মে) রাতে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই শিক্ষকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত ছিল। সেসব স্থানে সেলাই করে দেওয়া হয়েছে। আমরা তার বিচ্ছিন্ন কবজি জোড়া লাগানোর চেষ্টা করি। তবে সেটি সম্ভব হয়নি। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত আছেন।’ আহত শিক্ষকের ছেলে মো. হাসিব বলেন, ‘বাবার চিকিৎসা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। আমার বাবাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ঘটনাস্থল যেহেতু কুষ্টিয়া সদরের মধ্যে, সেহেতু কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা হতে পারে। তবে কুষ্টিয়া মডেল থানার (ওসি) সাব্বিরুল আলম বলেন, মামলার জন্য এখনও কেউ আসেনি। কুমারখালীর বাঁশগ্রামে মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে হামলার শিকার হন বাঁশগ্রাম আলাউদ্দিন আহমেদ ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক তোফাজ্জেল হোসেন। এ ব্যাপারে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, বেলা ২টার দিকে তোফাজ্জেল বাড়ি থেকে বের হয়ে কুষ্টিয়া শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে বংশীতলা ব্রিজের কাছে ওত পেতে থাকা ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা করে। হাঁসুয়া দিয়ে কোপ দিলে তার কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওসি আরও বলেন, ‘গ্রামে রফিকুলের দুই স্ত্রী সন্তানদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ আছে। এ নিয়ে সালিশে গ্রাম্য মাতব্বর ওই শিক্ষক প্রথম পক্ষের সন্তানদের পক্ষে রায় দিলে ক্ষুব্ধ হয় অন্যপক্ষ। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।’
Discussion about this post