ঢাকা: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত শান্তিরক্ষা মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পাঁচ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীকে মর্যাদাপূর্ণ মরনোত্তর ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল’ প্রদান করেছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) জাতিসংঘ সদরদফতরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজের কাছ থেকে বাংলাদেশের পক্ষে এই মেডেল গ্রহণ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত। সম্মাননা অনুষ্ঠানে ২০২২ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কর্তব্যরত অবস্থায় ৩৯টি দেশের নিহত ১০৩ জন শান্তিরক্ষীকে তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য এই মেডেল প্রদান করা হয়। সার্জেন্ট মোহাম্মদ মনজুর রহমান আবেই-তে ইউনিসফা মিশনে; ল্যান্স কর্পোরাল কফিল মজুমদার দক্ষিণ সুদানের আনমিস মিশনে; সৈনিক মোহাম্মদ শরিফ হোসেন, সৈনিক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও সৈনিক মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের মিনুসকা মিশনে কর্তব্যরত ছিলেন। আত্মোৎসর্গকারী শান্তিরক্ষীদের পক্ষে মেডেল গ্রহণের পর এই অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে সাধারণ পরিষদ হলে রক্ষিত শোক বইয়ে সই করেন রাষ্ট্রদূত মুহিত। শোকবার্তায় তিনি শান্তিরক্ষায় জীবন দানকারী সকল শান্তিরক্ষীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং অপূরণীয় এই ক্ষতির জন্য তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রায় ৭ হাজার ৫০০ জন শান্তিরক্ষী বিশ্বের ৯টি মিশনে কর্তব্যরত রয়েছেন। এছাড়া দায়িত্বরত অবস্থায় এখন পর্যন্ত ১৬৬ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী জীবন উৎসর্গ করেছেন। উল্লেখ্য, ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল’ জাতিসংঘের দ্বিতীয় মহাসচিব দ্যাগ হ্যামারশোল্ড-এর নামে প্রবর্তিত হয়।
Discussion about this post