স্পোর্টস রিপোর্ট: নারী ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ২-১ গোলে জিতেছে ইংলিশরা। যার সুবাদে ১৯৬৬ বিশ্বকাপ ফাইনালের দেশটিতে গেলো কোনো বড় শিরোপা। দীর্ঘ ৫৬ বছর পর ফুটবলের কোনো মেজর শিরোপা জিতলো দেশটি। রবিবার রাতে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে হওয়া ফাইনাল ম্যাচে সমানে-সমান লড়েছে দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধে গোল করে লিড নেয় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। সেটি ফিরিয়ে দিতে সময় লাগেনি রেকর্ড আটবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানির। অবশেষে অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটের দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে জয়সূচক গোল করে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংলিশরা। পুরো ম্যাচে একচ্ছত্র আধিপত্য দেখাতে পারেনি কোনো দল। ম্যাচ ইংল্যান্ড জিতলেও বল দখলে এগিয়ে ছিল জার্মানি। এমনকি গোলের জন্য ইংল্যান্ডের (১৩) চেয়ে বেশি শটও নেয় জার্মান নারীরা (১৬)। তবে জার্মানির (৭) চেয়ে লক্ষ্য বরাবর শট বেশি ছিল ইংল্যান্ডের (৮)।ম্যাচের প্রথমার্ধে হয়নি কোনো গোল। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৬ মিনিটের সময় মাঠে নামেন এলা টুন। স্কোরশিটে নাম তুলতে তার সময় লেগেছে মাত্র ছয় মিনিট। সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে মাতে পুরো ওয়েম্বলি, যেখানে উপস্থিত ছিলেন রেকর্ড ৮৭ হাজার ১৯২ জন্য দর্শক। তবে তাদের আনন্দ বেশিক্ষণ টেকেনি। ৭৯ মিনিটের মাথায় আটবারের চ্যাম্পিয়নদের সমতায় ফেরান লিনা মাগুল। ২০০৯ সালের ইউরোর ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও জার্মানি। সেবার ইংলিশদের ৬-২ গোলে উড়িয়েই দিয়েছিল জার্মান নারীরা। তবে এবার আর সেরকম কিছুই করতে পারেনি তারা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে অমীমাংসিত থাকায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে। যেখানে দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে বাজিমাত করেন ক্লো কেলি। কর্নার কিকে ডি-বক্সে উড়ে আসা বলে প্রথমে পা লাগাতে পারেননি কেলি। তবে দ্বিতীয়বার সুযোগ পেয়ে আলতো টোকায় বল জালে পাঠিয়ে জার্সি খুলে উল্লাসে মাতেন ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার।
Discussion about this post