জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ভিক্ষুক ও তার পরিবারের সদস্যদের শারিরিক নির্যাতন ও টেনে হিঁচরে হাসপাতাল থেকে বের করে গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দিনের বেলার এ ঘটনার পর রাতেই সরিষাবাড়ী থানার চারজন এসআইকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত ও দুই কনস্টেবলকে পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করা হয়েছে এ ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, সরিষাবাড়ী পৌরসভার বাউসি বাজার এলাকার মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে ভিক্ষুক আব্দুল জলিল (৬৫) ২০ শতাংশ জমিতে বসতভিটা বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি একই এলাকার প্রভাবশালী মুজিবুর রহমান ওই জমিটুকু নিজের দাবি করায় দুপক্ষের মধ্যে বিরোধের সষ্টি হয়। পরবর্তীতে ওই জমি নিয়ে জেলা জজ আদালতে মামলা হলে বিজ্ঞ আদালত ভিক্ষুক আব্দুল জলিলের পক্ষে ডিক্রি প্রদান করেন। আদালতের আদেশ অমান্য করে সোমবার (৯ মে) সকালে প্রতিপক্ষ মুজিবুর রহমান দলবল নিয়ে ভিক্ষুক আব্দুল জলিলের পরিবারের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আব্দুল জলিলসহ তার স্ত্রী লাইলী বেগম, বড় ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক, মেঝো ছেলে ওয়ায়েজ কুরুনি, ছোট ছেলে হামদাদুল হকসহ পরিবারের অন্য সদস্য জসিম মিয়া গুরুতর আহত হন। পরে এলাকাবাসিরা আহতদের উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। হামলার পর উল্টো মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে চিকিৎসাধীন চাজনসহ ১৫ জনকে আসামি করে সরিষাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মামলা হলে মঙ্গলবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিক্ষুক আব্দুল জলিলসহ চারজনকে হাসপাতালের শয্যায় শায়িতদের শারীরিক নির্যাতন ও চ্যাংদোলা করে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় সরিষাবাড়ি থানা পুলিশ। পরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ বিষয়ে জামালপুরের পুলিশ সুপার মো: নাছির উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় তিনি সরিষাবাড়ী থানার এস আই আলতাব হোসেন, এসআই সাইফুল ইসলাম, এসআই ওয়াজেদ আলী ও এসআই মুন্তাজকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত এবং কনস্টেবল মোজাম্মেল হক ও সাথী আক্তারকে পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এককই সাথে তদন্ত সাপেক্ষে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মীর রকিবুল হাসানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
Discussion about this post