৩০ অক্টোবর ছিল মেহরীনের জন্মদিন। নিজের জন্মদিনটা অসহায় শিশুদের নিয়ে কাটালেন তিনি। অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করেই তার জন্মদিনে বিকেলে কক্সবাজারের একটি হোটেলে ব্যতিক্রমী এক সেমিনারের আয়োজন করেন। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে এ আয়োজন ছিল সাধারণ মানুষকে সচেতন করা। যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে উইমেন ফেডারেশন ফর ওয়ার্ল্ড পিস- ডব্লিউএফডব্লিউপি ও অরবিস ইন্টারন্যাশনাল। সেমিনারের বিষয় ছিল ‘চোখের যত্ন ও সচেতনতা বৃদ্ধি’। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডব্লিউএফডব্লিউপি বাংলাদেশের প্রজেক্ট ডিরেক্টর সঙ্গীতশিল্পী মেহরীন মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার, ইউএন উইমেন, কক্সবাজার-এর নুসরাত জহির এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনাল-এর সহযোগী পরিচালক, ড. ইকবাল হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে এনজিও এবং স্বাস্থ্যখাতে কর্মরত অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে চক্ষু রোগ সংক্রান্ত বিবরণ, স্বাস্থ্যখাতের এনজিও নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় এবং বেসরকারি স্টেক হোল্ডার এবং সম্ভাব্য সুবিধা ভোগীদের সাথে চোখের সুরক্ষার জন্য প্রাথমিক স্তরের সতর্কতা এবং প্রতিকার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়।
ডব্লিউএফডব্লিউপি-এর সভাপতি সঙ্গীতশিল্পী মেহরীন মাহমুদ বলেন, এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা চক্ষু বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় ক্যাম্পেইন করে থাকি এবং এর মাধ্যমে দেশের অসহায় এবং সুবিধাবঞ্চিতদের চোখের সুরক্ষা, সতর্কতা এবং প্রতিকারের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এটা একটা মানবিক কাজ। এ রকম মানবিক কাজে আমাদের মত মানুষদেরই সর্বাগ্রে এগিয়ে আসা উচিত। কারণ, আমরা যারা মানুষের কাছে অনেক প্রিয়, তারা এগিয়ে এলে সাধারণ মানুষ সহজেই সচেতন হয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস।
Discussion about this post