স্টাফ রিপোর্টার(রাজশাহী): স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন, ‘অবৈধ ও অনিবন্ধিত হাসপাতাল-ক্লিনিক খুলে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না। জনগণের স্বাস্থ্য সেবার নামে কোন ব্যবসা চলবে না। এ জন্য ইতোমধ্যে প্রায় দুই হাজার হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ করা হয়েছে। অভিযান চলমান থাকবে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। কাগজে-কলমে বন্ধ থাকলেও বাস্তবে অনেক বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক চলছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সেটা দেখব। যেগুলো সঠিক যন্ত্রপাতি ও জনবল না থাকার কারণে বন্ধ করা হয়েছে সেগুলো যদি শর্ত পূরণ না করে থাকে তাহলে আবারো বন্ধ করে রাখা হবে, বন্ধ করে দেওয়া হবে। কোন প্রতিষ্ঠানকে যে কারণে বন্ধ করা হয়েছিল, সেই কারণগুলো যদি আবার শুরু করে তাহলে বন্ধ করার ব্যবস্থা হবে। মন্ত্রী বলেন, রাজশাহী সদর হাসপাতাল দীর্ঘ দিন ধরেই বন্ধ। এখন সেখানে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের কার্যক্রম চলে। করোনার সময় হাসপাতালটি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। শুরু হয় সংস্কার কাজও। যাবতীয় প্রস্তুতি থাকা স্বত্ত্বেও হাসপাতালটি চালু হয়নি। এ হাসপাতাল প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সদর হাসপাতালটি আমরা চালু করতে চাই। এখানে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা হবে। পাশাপাশি ডেন্টাল ইউনিটেরও কার্যক্রম থাকবে। কীভাবে কী করা যায় সে বিষয়ে কথা বলতেই এসেছি। এখন সবার সঙ্গে মতবিনিময় করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজশাহীতে এসে রাতেই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের কয়েকটি ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। তিনি হাসপাতালের ৭ ও ৩১ নম্বরসহ কয়েকটি ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। এ সময় মন্ত্রী চিকিৎসার ব্যাপারে রোগী ও স্বজনদের সঙ্গেও কথা বলেন। পরে রামেক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী। রামেক হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরেও মন্ত্রী রাজশাহীর আট জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এদিকে মন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আগে থেকেই প্রস্তুতি রেখেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সবগুলো ওয়ার্ড, বারান্দাসহ পুরো হাসপাতালই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়েছিল। রোগীদের বিছানায় বিছানায় ছিল নতুন চাদর দেখা গেছে। ময়লা-আবর্জনার কোথাও কোন চিহ্নও ছিল না। বৃহৎ এই হাসপাতালের এমন সুন্দর পরিবেশ দেখে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।
Discussion about this post