স্পোর্টস ডেস্ক: দিল্লির ঐতিহাসিক জহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম (Jawaharlal Nehru Stadium) ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়ালের প্রতিবেদন অনুযায়ী সেখানে নির্মিত হতে চলেছে নতুন এক ‘স্পোর্টস সিটি’।ভারতের যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ১০২ একর জমির এই বিশাল এলাকা সম্পূর্ণ নতুনভাবে গড়ে তোলা হবে, যেখানে থাকবে আধুনিক মানের খেলাধুলা কেন্দ্র ও খেলোয়াড়দের থাকার ব্যবস্থা।সূত্র অনুযায়ী, প্রকল্পটি এখন প্রস্তাব পর্যায়ে। ফলে সময়সীমা নির্ধারিত হয়নি। তবে মন্ত্রক ইতিমধ্যেই কাতার ও অস্ট্রেলিয়ার স্পোর্টস সিটি মডেল খতিয়ে দেখছে—যেখানে প্রশিক্ষণ, প্রতিযোগিতা ও ক্রীড়াবিদদের সুবিধা একসঙ্গে রাখা হয়েছে।এক আধিকারিক পিটিআইকে বলেছেন, ‘পুরনো স্টেডিয়াম ভেঙে ফেলা হবে। ভিতরে থাকা সমস্ত দপ্তর—যেমন, ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (NADA) ও ন্যাশনাল ডোপ টেস্টিং ল্যাবরেটরি (NDTL)—অন্যত্র সরানো হবে।’এই পদক্ষেপকে দেশের ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নয়নের নতুন ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।প্রস্তাবিত এই স্পোর্টস সিটি তৈরি হবে সম্পূর্ণ আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গিতে—যেখানে শুধু প্রতিযোগিতা নয়, ক্রীড়াবিদদের সার্বিক উন্নয়ন ও সুস্থতার দিকেও জোর দেওয়া হবে। উদাহরণ হিসেবে ধরা হচ্ছে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল স্পোর্টস কমপ্লেক্স (Sardar Vallabhbhai Patel Sports Complex), যেখানে এক ছাদের তলায় ক্রিকেট, অ্যাথলেটিকস, সাঁতার ও টেনিসের মতো একাধিক খেলাধুলো চালানোর সুযোগ রয়েছে।দেশটির সরকারি সূত্র বলছে, দিল্লির নতুন স্পোর্টস সিটির লক্ষ্য এই মানে পৌঁছানো—যাতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের কেন্দ্র হিসেবে রাজধানীকে আরও উন্নতভাবে গড়ে তোলা যায়।উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালের এশিয়ান গেমসের জন্য তৈরি হয় জহরলাল নেহেরু স্টেডিয়াম। পরবর্তীতে ২০১০ সালের কমনওয়েলথ গেমসের (Commonwealth Games) আগে তা বড়সড় সংস্কার চলে।ঐতিহ্যবাহী এই ময়দানেই অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে অনেক স্মরণীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ। কিন্তু এবার তার জায়গায় আসতে চলেছে নতুন যুগের প্রতীক—একটি পূর্ণাঙ্গ, প্রযুক্তিনির্ভর ক্রীড়া শহর। যদি এই প্রকল্প অনুমোদন পায়, তবে শুধু দিল্লির নয়, গোটা দেশের স্পোর্টস ইনফ্রাস্ট্রাকচারের চেহারা বদলে যেতে পারে। যেখানে ঐতিহ্য আর আধুনিকতার অন্দরেই গড়ে উঠবে নতুন ভারসাম্য।
























































Discussion about this post