আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি এবং একটি বৃহৎ অনলাইন প্রতারণা চক্র পরিচালনার অভিযোগে বহু বছর ধরে বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা ফিলিপাইনের সাবেক মেয়র এলিস গুও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার আদালত তাকে এবং আরও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ লাখ পেসো (প্রায় ৩৩ হাজার ৮০০ ডলার) জরিমানা করেছেন।বিবিসির খবর অনুযায়ী, ৩৫ বছর বয়সী এলিস গুওকে ঘিরে ফিলিপাইনে ব্যাপক সমালোচনা চলছিল। তার ছোট্ট শহর বামবান-এ দেশের অন্যতম বৃহৎ একটি প্রতারণা কেন্দ্র উন্মোচিত হয়। সেখানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৮০০ জন ফিলিপিনো ও বিদেশি নাগরিককে উদ্ধার করা হয়।উদ্ধারকৃত অনেকেই জানান যে তারা জোরপূর্বক ‘পিগ বাচারিং’ নামে অনলাইনে প্রতারণা করতে বাধ্য হতেন। গুও এই প্রতারণা কেন্দ্র পরিচালনার জন্য ফিলিপাইন অনলাইন গেমিং অপারেশনস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মোড়ক ব্যবহার করতেন, যা মূলত চীনা মূল ভূখণ্ডের গ্রাহকদের লক্ষ্য করে পরিচালিত হতো।২০২২ সালে এলিস গুও বামবানের মেয়র নির্বাচিত হলেও ২০২৪ সালে পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে বদলে যায়। তদন্তে দেখা যায়, তার অফিসের কাছেই ৩৬টি ভবন নিয়ে গঠিত ৮ হেক্টর এলাকাজুড়ে ওই কমপাউন্ডটি নির্মিত। আরও জানা যায়, ওই জমিটির মালিক আগে গুওই ছিলেন।তদন্তে তার ব্যক্তিগত তথ্যেও অসঙ্গতি পাওয়া যায়। তিনি ফিলিপাইনে জন্ম নেওয়ার দাবি করলেও পরে জানা যায় তিনি কিশোর বয়সে পরিবারসহ চীন থেকে এসেছেন এবং তার আঙুলের ছাপ গুও হুয়া পিং নামের এক চীনা নাগরিকের সঙ্গে মিলে যায়। ফলস্বরূপ, তাকে মেয়রের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং তদন্ত এগোতে থাকলে জুলাই ২০২৪-এ তিনি নিখোঁজ হয়ে যান।চার দেশের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক অভিযানের পর সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ তাকে ইন্দোনেশিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে ফিলিপাইনে ফেরত পাঠানো হয়।গুও সব অভিযোগ অস্বীকার করলেও আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। এ মামলার বাইরে তার বিরুদ্ধে আরও পাঁচটি মামলা চলছে, যার মধ্যে একটি অর্থপাচার সংক্রান্ত। তবে চীন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
























































Discussion about this post