স্পোর্টস ডেস্ক: সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। নির্বাচনের ফল, সভাপতি কে হবেন তাও ছিল অনুমিত। হলোও সেটিই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির চেয়ারে চতুর্থবারের মতো বসছেন নাজমুল হাসান পাপন। বুধবার নির্বাচনের পর বৃহ্স্পতিবার সভাপতি বাছাইয়ের জন্য বৈঠকে বসেন ২৫ পরিচালক। বিসিবি সভাপতি হিসেবে তারা নাজমুল হাসান পাপনকেই বেছে নিয়েছেন। বৈঠকে উপস্থিত এক পরিচালক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুনরায় পাপন ভাই সভাপতি নির্বাচত হয়েছে। তার কোন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। দুপুর আড়াইটার দিকে বৈঠকে পাপন ভাইকে সভাপতি চূড়ান্ত করা হয়। তবে এই বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। বোর্ড সভা শেষে চূড়ান্তভাবে জানানো হবেবাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে সভাপতি আগে সরকার থেকে মনোনীত হতো। নাজমুল হাসান পাপন ২০১২ সালে প্রথমে সরকার কর্তৃক মনোনীত সভাপতি ছিলেন। ২০১৩ সাল থেকে বিসিবি সভাপতি পদটি নির্বাচনের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয়। ২০১৩ ও ২০১৭ সালে দুই মেয়াদে নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পাপন। এবার বিসিবি নির্বাচন হয়েছে ৩ ক্যাটাগরিতে। বিভাগ, ক্লাব ও সংস্থা ক্যাটাগরিতে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। সশরীরে ভোট দিয়েছেন ৫৮ জন। পোস্টাল আর ই-ব্যালটে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৬৩ জন। এবারের নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৫৩ ভোট পেয়েছেন সদ্য সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এই বিভাগে ৫৭ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৫৩টি। সর্বনিম্ন ২টি ভোট পেয়েছেন খালেদ মাসুদ পাইলট। রাজশাহী বিভাগে তিনি যেখানে লড়ছেন সেখানে ভোটার সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ ৯ জন। ক্যাটাগরি-১ এর ঢাকা বিভাগ থেকে চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হয়েছেন এ.এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় এমপি (মানিকগঞ্জ)। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৭টি। যেখানে ১৬ ভোট সশরীরে এবং একটি ভোট পেয়েছেন ই-ব্যালটের মাধ্যমে। একই ব্যবধানে এই ক্যাটাগরি থেকে পাস করেছেন তানভীর আহমেদ টিটু (নারায়নগঞ্জ)। এই ক্যাটাগরি থেকে সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু (কিশোরগঞ্জ) ও মোহাম্মদ খালিদ হোসেন (মাদারীপুর) নিজেদের সরিয়ে নেওয়ায় কোন ভোট পাননি। ক্যাটাগরি-১ এ রাজশাহী থেকে খালেদ মাসুদ পাইলট পেয়েছেন সর্বসাকুল্য ২ ভোট। যেখানে ১টি তিনি নিজে দিয়েছেন মিরপুরে এসে, আরেকটি ই-ব্যালটে এসেছে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফুল আলম স্বপন ৭ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। যেখানে ৩টি সশরীরে এবং বাকি ৪টি ই-ব্যালট আর পোস্টালে। ক্যাটাগরি-২ অর্থাৎ ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে সর্বোচ্চ ৫৩ ভোট পেয়েছেন পাপন। যেখানে ১৮টি সশরীরে ও বাকি ৩৫টি ভোট পান পোস্টাল ও ই-ব্যালটের মাধ্যমে। পাপনের সমান ৫৩টি ভোট পেয়েছেন গাজী গোলাম মুর্তজা (গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স, ১৮টি সশরীরে ও বাকি ৩৫টি পোস্টাল ও ই-ব্যালটের মাধ্যমে) এবং এনায়েত হোসেন সিরাজ (আজাদ স্পোর্টিং, ১৮টি সশরীরে ও বাকি ৩৫টি পোস্টাল ও ই-ব্যালটের মাধ্যমে)। মোহাম্মাদ ঈসমাইল হায়দার মল্লিক (শেখ জামাল ক্রিকেটার্স, ৫২ ভোট), নজিব আহমেদ (শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, ৫১ ভোট), মাহবুব আনাম (মোহামেডান স্পোটিং ক্লাব, ৪৭ ভোট), ওবেদ রশীদ নিজাম (শাইনপুকুর ক্লাব, ৫১ ভোট), সালাউদ্দিন চৌধুরী (কাকরাইল বয়েজ, ৪৯ ভোট), মঞ্জুর হোসেন কাদের (ঢাকা এসেটস, ৪৯ ভোট), এবং মনজুর আলম (আসিফ শিফা ক্রিকেট অ্যাকাডেমি, ৪৬ ভোট), ফাহিম সিনহা (সূর্যতরুণ, ৫১ ভোট), ইফতেখার রহমান মিঠু (৫০ ভোট)। ক্যাটাগরি-৩ থেকে বাজিমাত খালেদ মাহমুদ সুজনের। সাবেক এই অধিনায়ক হারিয়েছেন ক্রিকেট সংগঠক নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে। যেখানে সুজন ৩৭ ভোটের মধ্যে পোস্টাল ও ই-ব্যালটের মাধ্যমে পেয়েছেন ২২টি ও বাকি ১৫টি পেয়েছেন সশরীরে। ফাহিম যে ৩টি ভোট পেয়েছেন তার সবকটিই সশরীরে।
Discussion about this post