চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: তিন যুবককে গ্রেফতার পর পুলিশ বলছে, তারা চট্টগ্রামের প্রধান ঈদ জামাত থেকে মোবাইল ফোন ‘চুরি ও কেনাবেচার’ সঙ্গে জড়িত। নগরীর নন্দনকানন ও স্টেশন রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে রবিবার তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৩টি ‘চোরাই’ মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার এসআই মেহেদী হাসান। গ্রেফতার তিনজন হলেন- মো. মারুফ হাসান (৩৬), মো. ইসমাইল ওরফে নিলয় (২৭) ও মনছুর আলম (৪৪)। তাদের মধ্যে মারুফ মোবাইল ফোন চুরির সঙ্গে জড়িত এবং অন্যরা চোরাই মোবাইলের ক্রেতা বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ কর্মকর্তা মেহেদী জানান, নন্দনকানন পুলিশ প্লাজা এলাকা থেকে রোববার বিকালে মারুফকে চারটি মোবাইল ফোন সেটসহ আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিলয় ও মনছুরকে গ্রেফতারের পর আরও নয়টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার যুবকরা এসব সেট জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ মাঠের ঈদ জামাত থেকে চুরি করেছিল বলে জানিয়েছে। কোভিড মহামারীর বিধিনিষেধ উঠে গেলে এবার দুই বছর পর নগরীর প্রধান ঈদ জামাত জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ মাঠে বিপুল মুসল্লীর জনসমাগম ঘটে। এ জামাত থেকে বেশ কয়েক জনের মোবাইল ফোন সেট ও টাকা খোয়া যাওয়ার গুঞ্জন ওঠে। এএসআই অনুপ জানান, ঈদ জামাত থেকে মোবাইল চুরির বিষয়ে অন্তত ছয় জন কোতোয়ালী থানায় লিখিত অভিযোগ করে “মোবাইল চুরির অভিযোগ ও পকেট কাটার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নগরীর স্টেশন রোড, রেয়াজউদ্দিন বাজারসহ যেখানে মোবাইল কেনাবেচা হয় সেখানে অভিযান শুরু করে পুলিশ।” তিনি জানান, পুলিশের অভিযানে চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রেতারা রেয়াজউদ্দিন বাজার ও স্টেশন রোড এড়িয়ে ভিন্ন স্থানে কেনাবেচা করছে।গ্রেফতার মারুফ আগেও মোবাইল চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মারুফসহ আরও ১২-১৫ জন ‘পকেটমার’ ঈদের দিন মুসল্লীর বেশে জামাতে গিয়ে মোবাইল ও টাকা চুরি করেছে বলে তাদের কাছে তথ্য আছে। এ চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
Discussion about this post