ঢাকা: তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় বনায়ন এবং জলাশয় বাড়াতে স্থানীয় সরকার, স্বাস্থ্য এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বিত কাজ শুরু করবে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব জানান বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তবে ঢাকার বেশি অংশ কংক্রিটের হওয়ায় এখন তেমনিভাবে গাছ লাগানো সম্ভব হবে না বলেও জানান তিনি। আগামীকাল ৫ জুন পরিবেশ দিবস উপলক্ষে করা সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, নতুন শহর পূর্বাচলকে পরিবেশবান্ধব হিসেবে তৈরি করার জন্য ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, বায়ুদূষণ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনের কর্মসূচি শেষ হবে আগামী ৩০ জুন। এরমধ্যে ঢাকার চারপাশে ৫০০টি ইটভাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আরও যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেগুলো নিয়ে আগামী পহেলা জুলাই সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে। সাবের হোসেন বলেন, এবারের ঘূর্ণিঝড় রিমালে সুন্দরবনের অবকাঠামোর ৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কিছু হরিণ বন্যার পানির সাথে ভেসে গেছে। এটা প্রাথমিক হিসেব। তবে বন্যায় সুন্দরবনকে আরও কিভাবে রক্ষা করা যায় তা নিয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে মন্ত্রণালয়। পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত উপকূলে প্রায় ৯০ হাজার হেক্টর বনায়ন বাড়ানো হয়েছে। এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে গাছ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ।
Discussion about this post