ঢাকা: গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক অব্যহতিপ্রাপ্ত মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের আপত্তিকর কথোপকথনের একটি অডিও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গত বছরের ১৯ নভেম্বর গাজীপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদকের দলীয় পদ থেকে কেন্দ্র তাকে বহিষ্কার করে। জাহাঙ্গীর আলম বরাবরই বলে আসছিলেন অডিও ভিডিওর বলা কথাগুলো সুপার এডিট করা। তিনি ওইসব কথা বলেননি। জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভায় বহিষ্কারাদেশ পাওয়া একশ’র মতো নেতার দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী বক্তব্য, বিদ্রোহ এবং কলহে জড়িত সবাইকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। গাজীপুরের জাহাঙ্গীর আলমেরও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, জাহাঙ্গীর তো ক্ষমা চেয়ে এপ্লাই করেছে, তারটাও মওকুফ করে দেয়া হয়েছে। সে এখন আওয়ামী লীগের একজন কর্মী। ওই সভায় যারাই আপিল করেছে তাদের সবাইকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, যে পাপে তারা সাজা পেয়েছে তার পুনরাবৃত্তি তারা আর ঘটাবেনা এমন শর্ত দিয়েই তারা ক্ষমা চেয়েছে। দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার প্রসঙ্গে বলেন, যখন কাউকে ক্ষমা করা হয়, তখন উদ্দেশ্যটা থাকে বৃহৎ এবং ভালো কিছুর প্রত্যাশায়। ক্ষমার মাধ্যমে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তৃনমূলের ঐক্যকে আরো সুদৃঢ় করবে। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, ক্ষমা প্রার্থনার জন্য দু’শতাধিক আবেদন জমা পড়েছে। ভবিষ্যতে যারা ক্ষমার আবেদন করবে তাঁরাও ক্ষমা পাবেন। যোগাযোগ করা হলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে আমি জননেত্রী আমার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ। এদিকে গাজীপুরের জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের খোলসা বক্তব্যের খবরে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জাহাঙ্গীর আলমের গাজীপুরস্হ হারিকেনের বাসভবনে শুভেচ্ছা জানাতে হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়সহ মিষ্টি খাওয়া খাওয়ি করছেন।
Discussion about this post