স্টাফ রিপোর্টার: গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকার একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের রবিবার (১৩ আগস্ট) রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে অভিযোগ, দগ্ধ হওয়ার পর প্রায় এক ঘণ্টা তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় তাদেরকে বের করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দগ্ধরা হলেন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার মিনারুল ইসলাম (৩৫), তার বাবা পরমাণু মন্ডল (৬৫) ও মা খাদিজা বেগম (৫২)। মিনারুলের সহকর্মী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, রাতে খবর পান গাজীপুরের বোর্ডবাজার কলমেশ্বর এলাকায় মিনারুলের ভাড়া বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। পরবর্তীতে রাতে তাদেরকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসলে তিনি সেখানে গিয়ে তাদেরকে দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। দগ্ধ ও তার স্বজনদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে যখন এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, এরপর ওই বাড়িওয়ালা ঝলসে যাওয়া তিন জনকেই বাসার ভেতর আটকে রাখে। বাসার ক্ষয়ক্ষতি পরিমাপ করার জন্য তিনি তাদের আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পরবর্তীতে গাছা থানা পুলিশ এবং মিনারুলের সহকর্মী সেখানে গিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার প্রায় এক ঘণ্টা পর ওই বাসা থেকে তাদের বের করে আনেন এবং স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি অভিযোগ করে জানান, বিস্ফোরণে মিনারুলের স্ত্রী ও সন্তানের কিছু হয়নি। রাতে পুলিশের হস্তক্ষেপে দগ্ধদেরকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে বের করে আনা হলেও সকালে মিনারুলের স্ত্রী এবং বাচ্চাকে বাসায় ভেতরে ওই বাড়িওয়ালা আবার আটকে রাখে। তাকে হাসপাতালে রোগীদের কাছেও আসতে দিচ্ছিলো না। পরে ফোনে বিষয়টি তাদেরকে জানালে তারা আবারও থানায় ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগীতা চান। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, তাদের তিন জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
Discussion about this post