আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের ইতিহাসে অন্যতম ক্ষমতাধর সেনাপ্রধান হিসেবে আবির্ভূত হওয়া ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির এক বড় ধরনের কূটনৈতিক ও অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে চলেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত গাজা ‘আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনীতে’ সেনা পাঠাতে ইসলামাবাদের ওপর ওয়াশিংটনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।সম্প্রতি সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ২০৩০ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি এবং আজীবন দায়মুক্তি পাওয়ার পর আসিম মুনির এখন অপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতার অধিকারী। তবে ট্রাম্পের ২০ দফার গাজা পরিকল্পনা, যেখানে মুসলিম দেশগুলোর সমন্বয়ে হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ ও নিরাপত্তা রক্ষার কথা বলা হয়েছে, তা বাস্তবায়নে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ মুনিরের জন্য ‘শাঁখের করাত’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।বিশ্লেষকদের মতে, ওয়াশিংটনের সাথে অবিশ্বাসের সম্পর্ক মেরামত করতে এবং মার্কিন বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে আসিম মুনির ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হতে চাইছেন। ইতিমধ্যে গত ছয় মাসে তাদের দুবার সাক্ষাৎ হয়েছে এবং সামনে তৃতীয় বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু গাজায় সেনা পাঠানো হলে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে কট্টর ইসলামপন্থী দলগুলো এবং কারাবন্দী নেতা ইমরান খানের সমর্থকরা একে ‘ইসরায়েলের স্বার্থরক্ষা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে দেশজুড়ে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক আয়েশা সিদ্দিকা মনে করছেন, আসিম মুনির সম্প্রতি মুসলিম দেশগুলো সফর করেছেন মূলত গাজা ইস্যুতে পরামর্শ করতেই। এখন দেখার বিষয়, অভ্যন্তরীণ জনরোষ এড়িয়ে আসিম মুনির কীভাবে ট্রাম্পের এই ‘অজুহাত’ সামাল দেন।
























































Discussion about this post