বিনোদন ডেস্ক: একজন সিনেমাটোগ্রাফার আরিফুজ্জামান যিনি তার শিল্পকর্ম রচনা করেন তার প্রতিটি শটে। গল্পের সার্থক চিত্ররূপ দেয়াই যার জীবনের ব্রত । ফরিদপুর ও যশোরের বিভিন্ন মফস্বল শহরে কেটেছে যার ছেলেবেলা পরবর্তীতে ঢাকায় তাঁর বেড়ে ওঠা। ছবি তোলা ছিল তার নেশা। সেই নেশা যে কখন পেশায় পরিনত হয়ে গেছে তা তিনি নিজেই বুঝে উঠতে পারেননি। পড়াশোনা শেষ করেছেন ছবি আঁকা নিয়ে। কিন্তু কালক্রমে নিজের মাধ্যম হিসাবে বেছে নিয়েছেন ছবি তোলাকেই। সম্প্রতি তিনি শেষ করলেন ‘প্রজন্ম’ ওয়েভ সিরিজ এর একটি শর্ট ফিল্ম “কয়েকটি ধ্রুবতারা” যার নির্দেশনায় ছিলেন ফুয়াদ।
আরিফুজ্জামান বলেন, ১৯৯৯ সালের কথা। বাংলাদেশের অন্যতম চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদের মাটির ময়না স্টিল ফটোগ্রাফি করার সময়ই সিনেমাটোগ্রাফির প্রথম অনুপ্রেরণা পান তিনি । এরপর অনেক কাজ করা হয়েছে। তবে চলচ্চিত্র মাধ্যমে কাজ শুরু করি ২০০৫ সালে প্রশান্ত অধিকারীর নির্দেশিত একটি নাটক দিয়ে ।এ অবধি অসংখ্য টিভি ড্রামা, টিভি কমার্শিয়াল, ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল ডকুমেন্টারি এবং ফিল্ম এ সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন।
এছাড়া প্রজন্ম ওয়েভের জন্য বেশ কিছু এপিসোড এ কাজন করেছেন যার মধ্যে কয়েকটি আন্তজার্তিক উৎসবেও প্রদর্শনের জন্য নিবাচিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বাশার জর্জিস র্নিদেশিত ‘ফেরা’ (এপিসোড-০২ ), ‘মুখোমুখি’ (এপিসোড-০৯), সায়ান ‘ছেলেখেলা’ (এপিসোড-০৪), চৈতালি সোমাদ্দার নিদেশিত ‘মাগফিরাত’, কাওসার আল রাব্বি নিদেশিত “সবাই ভিন্ন একসাথে অনন্য” সিরিজের “পর্দা” (The Veil), এগুলোর প্রতিটাতেই তার নিজস্ব বর্ণনাধর্মীতা লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও অডিও ভিজ্যুয়াল, এর অন্যান্য ধারাতেও তার সাবলীল চিত্রগ্রহণের দক্ষতা লক্ষ্য করা যায়।
এদিকে তিনি জানালেন, ইমেজ দিয়ে গল্প বলতে আমার খুব ভাল লাগে এবং এটার উৎকর্ষতার জন্যই নিরলস করে যেতে চাই।
Discussion about this post