আমিনুল ইসলাম তপু: প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে মামলা শুনানির সময় অধস্তন আদালতের বিচারক ও আইনজীবীদের কালো কোর্ট ও গাউন পরিধান করার আবশ্যকতা নেই। যার কারণে বিচারক ও আইনজীবীরা সাদা ফুলশার্ট বা সাদা শাড়ি/সালোয়ার কামিজ ও সাদা নেক ব্যান্ড/কালো টাই পরতে পারবেন। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ শনিবার এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। আগামীকাল রবিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিদ্যমান তাপপ্রবাহের কারণে আদালতে মামলা শুনানির সময় পরিধেয় পোশাক বিষয়ে আজ শনিবার প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতির নিয়ে আলোচনায় বসেন। আলোচনা শেষে ‘অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদাল/ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং আইনজীবীদের মামলা শুনানিকালে পরিধেয় পোশাক’ সংক্রান্ত ওই বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। রেজিস্ট্রার জেনারেল সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশব্যাপী চলমান তীব্র তাপমাত্রার কারণে দেশের বিভিন্ন আইনজীবী সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের প্রধান বিচারপতি সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের আলোচনাক্রমে সিদ্ধান্ত হয় যে, ‘অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত/ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও আইনজীবীদের মামলা শুনানিকালে পরিধেয় পোশাক সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ২০২১ সালের ২৮ অক্টোবরের বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করে ২০২১ সালের ৩০ মার্চের বিজ্ঞপ্তি পুনর্বহাল করা হলো।’ বিজ্ঞপ্তির শেষাংশে বলা হয়, এমতাবস্থায় দেশের সকল অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত/ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও আইনজীবীরা ক্ষেত্রমত সাদা ফুলশার্ট বা সাদা শাড়ি/সালোয়ার কামিজ বা সাদা নেক ব্যান্ড/কালো টাই পরিধান করবেন। এ ক্ষেত্রে কালো কোর্ট এবং গাউন পরিধান করার আবশ্যকতা নেই। এ নির্দেশ ১৪ মে হতে পরবর্তী নির্দেশ প্রদান না করা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান গনমাধ্যমকে বলেন, অধস্তন আদালতের সব জায়গায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেই। সর্বোচ্চ আদালত ও উচ্চ আদালতের কক্ষগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। তাই এই সিদ্ধান্ত অধস্তন আদালতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
Discussion about this post