ঢাকা: সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি ১৯৯১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত গত ৩৪ বছরে কতজনের কারাদণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করেছেন, তার তালিকা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রোববার (২৫ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. ওমর ফারুক এ নোটিশ পাঠান। স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমতাবলে বহু ক্রিমিনাল, হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের ক্ষমা বা তাদের দণ্ড মওকুফের আদেশ দিয়ে আসছেন। রাষ্ট্রপতির মার্জনায় বহু ফাঁসির আসামি ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেল থেকে বেরিয়ে সমাজে আবার মাফিয়া ডন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। রাষ্ট্রপতি কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায়, কাদের সুপারিশ বা তদবিরে দাগি, ঘৃণিত, কুখ্যাত সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষমা করে বা দণ্ড মওকুফ করে দায় মুক্তি দিচ্ছেন তা একজন নাগরিক হিসেবে আমার/আমাদের জানার অধিকার আছে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা সংক্রান্ত সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতার অপব্যবহার বা কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বা রাজনৈতিক কোনোরূপ বলপ্রয়োগ আছে কি না, তা-ও ক্ষতিয়ে দেখা দরকার। নোটিশে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রপতির দণ্ড মওকুফের ক্ষমতার উৎস বা কোন আইন দ্বারা তিনি কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় তা করে থাকেন বা দণ্ড মওকুফের মানদণ্ড কী, তা মানুষের জানা দরকার। তাই এখানে ১৯৯১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত যতজনকে রাষ্ট্রপতি দণ্ড মওকুফ করে বা দণ্ড স্থগিত করে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছেন, তাদের নামের তালিকা ও কী প্রক্রিয়ায় তাদের ক্ষমা করা হয়েছে তার বিশদ বর্ণনা নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে আমাকে প্রদান করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি। নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে তালিকা না পেলে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
Discussion about this post