খুলনা প্রতিনিধি: খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামে বড় বোনের সামনে ছোট বোনকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার মধ্যরাতে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তবে রবিবার (১৫ মে) রাতে তাদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। এদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মূল হোতা ওই এলাকার মৃত মোহাম্মদ শেখের ছেলে মুজাহিদ শেখ (২৪) এবং আজনবী মোড়লের ছেলে মোঃ আজিজুল মোড়ল ওরফে মিশরিয়াকে (২৫) প্রেফতার করেছে র্যাব-৬ এর সদস্যরা। এছাড়া একই এলাকার হুমায়ুন মোড়লের ছেলে নাঈম মোড়লকে (২২) পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ছোট বোন ১৩ বছর বয়সী মাদ্রাসা ছাত্রী। সম্পর্কে তারা দুজন খালাতো বোন। মামলা সূত্রে জানা যায় শনিবার বিকালে ভিকটিমের মা বোনের বাড়ি ডুমুরিয়া যান। আর বাবা চিকিৎসার জন্য বাগেরহাটে গিয়েছিলেন। এসময় দুই বোন বাড়িতে ছিল। মধ্যরাতে আসামীরা তাদের বাড়িতে যায়। সেখান থেকে কয়েকজন দরজা ভেঙ্গে ঘরে গিয়ে বড় বোনের সামনে ছোট বোনকে দুই জন ধর্ষণ করে। বড় বোন জানান ঘটনার সময় তার দেড় বছর বয়সী সন্তানের গলায় ছুরি ধরা হয়েছিল। পরবর্তীতে তাকে পানিতে চুবিয়ে রাখে। শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বটিয়াঘাটা থানার ইনসপেক্টর (তদন্ত) মোঃ জাহেদুর রহমান বলেন, ধর্ষণের ঘটনাটি জানতে পেরে তিনি হাসপাতালে গিয়ে ভূক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ১৩ বছর বয়সী ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া অন্য জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ভিকটিমের মা বাদি হয়ে থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। র্যাব-৬ এর পরিচালক লেঃ কঃ খন্দকার মোসতাক আহমেদ দুপুরে নিজ দফতরে ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের জানান, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের র্যাব জানতে পারে এই লোমহর্সকর ঘটনাটি। তারপর থেকেই তারা তৎপরতা শুরু করে এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘটনায় জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করছে জড়িত থাকার কথা। খুমেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়ক অঞ্জন কুমার চক্রবর্তী জনকন্ঠকে বলেন, আমরা মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করেছি। বিভিন্ন আলামতও সংগ্রহ করেছি। মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে আমাদের মনে হচ্ছে।
Discussion about this post